শিরোনাম
◈ আ.লীগ বা সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ হতে পারে: আসিফ নজরুল ◈ ভারত বলছে তিনটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান, পাকিস্তানের অস্বীকার ◈ যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ নয়, নিষিদ্ধ করতে হবে আ.লীগকে: নাহিদ ইসলাম ◈ সেলিনা হায়াৎ আইভীর বাড়িতে পুলিশ (ভিডিও) ◈ লাহোরে পাল্টা আঘাত হেনে পাকিস্তানকে জবাব দিয়েছে ভারত ◈ পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি হলেন আমেরিকান রবার্ট প্রিভোস্ট ◈ নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ ◈ আজ রাতেই ফয়সালা হবে আওয়ামী লীগের বিষয়ে: নাহিদ ইসলাম ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনার সামনে হাসনাতের নেতৃত্বে বিক্ষোভ, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী ◈ ভারতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর নিয়ে যা বলল পাকিস্তান

প্রকাশিত : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০২:০২ রাত
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০২:০২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইসলামি রাষ্ট্র বলে আর কিছু সম্ভব নয়

মোকাররম হোসাইন

মোকাররম হোসাইন: ইসলামি রাষ্ট্র বলে আর কিছু সম্ভব নয়। যদি তেমন কোনো রাষ্ট্র হয় সেটা সালাফি, জামায়াতি, দেউবন্দি, বেরলভি, বালাকোটি, তালেবানি, রাফেজি, ইসমাইলি রাষ্ট্র হবে। ইসলামি রাষ্ট্র বলে যা হবে সেটা একটা ফেরকার প্রতিনিধি। সামগ্রিক মুসলিম উম্মাহকে ধারণ করে না এমন রাষ্ট্র। সেখানে অন্য ফেরকার মুসলমানরা অপর হয়ে যায়। সৌদিআরবে যেমন শিয়াদের মর্যাদাপূর্ণ জীবন নাই, ইরানেও তেমনি সুন্নিদের নাই। ইরানের সংবিধান শিয়া না হলে কাউকে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে যোগ্য বিবেচনা করে না। ইসলামি রাষ্ট্র বলে যদি কিছু থাকে সেটা একমাত্র রাসূল (স.) এর প্রতিষ্ঠিত ট্রাইবাল কনফেডারেসিকে বলা যেতে পারে। তারপর থেকে ধীরে ধীরে বিভক্ত হতে থাকে মুসলমানরা। বিভক্ত কোনো উপদলের ইসলামি রাষ্ট্র কায়েমের রাজনীতি স্বীয় ফেরকাবাদ কায়েমের রাজনীতি। 

মদিনায় যে ট্রাইবাল কনফেডারেসি বা উম্মাহ মুসলিম ও অমুসলিম নানা গোত্রের সম্মতির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো তাকে ‘ইসলামি’ রাষ্ট্র বলাও সমস্যাজনক। এমনকি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সূত্রে ‘রাষ্ট্র’ বলা যায় না। রাষ্ট্র ধারণার উৎপত্তি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে ইউরোপের ঐতিহাসিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে। সেই ইউরোসেন্ট্রিক রাজনীতি পুরো দুনিয়াকে প্রভাবিত করেছে বলেই মুসলমান সংখ্যাগরিস্ট কিছু রাষ্ট্র হাজির হয়েছে। মূলত ট্রাইবাল কনফেডারেসি একটা সাম্রাজ্যের শুরুয়াত। সেটা আরব সাম্রাজ্য যার স্পিরিট ছিলো ইসলাম।

ইসলামি রাষ্ট্র বলে নির্দিষ্ট কিছু নাই। ইসলামের এসেন্স ধারণ করে এমন সব রাষ্ট্রই ইসলামি রাষ্ট্র। বিধান ও আইনের স্পিরিটটাই হলো ইসলাম। বিধান ও আইন কায়েম হলো কিন্তু স্পিরিট কায়েম হলো তাতে ইসলামের কিছু আসে যায় না। ইসলামিস্টরা ক্ষমতায় আসলে ন্যায়বিচার কায়েম, নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক বৈষম্য নিরসন, সুস্থ সাংস্কৃতিক বিকাশে প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কাজ করবে। সর্বোপরি ইসলাম পালনে প্রেরণাদয়ক পরিবেশ সৃষ্টি করবে কিন্তু চাপিয়ে দেবে না। ফেসবুকে ২৩-৯-২২ প্রকাশিত হয়েছে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়