সুব্রত বিশ্বাস: রাষ্ট্রনেতা এবং সমাজ-নিয়ন্তারকরা দেশে দুর্নীতি নিয়ে সজাগ থাকা বাধ্যতামূলক। তারা সরকার এবং সমাজের মূল মূল্য এবং নীতি নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করতে সাহায্য করতে পারে। তবে এটি সম্পূর্ণভাবে ব্যক্তিগত এবং সংস্থাগত সজাগতার ওপর নির্ভর করে। এটি সমাজের জাগরুকতা, প্রশাসনিক ক্ষমতা এবং গোপনীয়তার সঙ্গে সম্পর্কিত। রাষ্ট্রনেতা এবং সমাজ-নিয়ন্তাদের জন্য সজাগ হতে দরকার, দুর্নীতি এবং অপ্রত্যাশিত ঘটনাগুলো নিয়ে। এটি একটি সাম্প্রদায়িক এবং সামাজিক সমস্যা যা সমাজের সব সর্বশ্রেষ্ঠ অংশগুলোর যত্ন নেওয়া দরকার আছে, যাতে সমস্যাগুলোর সমাধান করা যায়।
দুর্নীতি কথাটি আজকাল বৃহৎ অংশ জনমণে বিষাদের জন্ম দেয়। যার প্রভাবে অর্থনীতির পশ্চাৎপদতা, দুর্নীতি প্রকৃত কারণ সন্ধানের মতো জরুরি বিষয়গুলোর আলোচনা চাপা পড়ে যায় জনমণে, অর্থনীতির মুক্তি ও অর্থনীতির অধিকার নিয়ে মুক্ত ভাবনাচিন্তা একুশ শতকে দিগন্ত বিস্তার করলেও দুর্নীতি নিহিত অমর্যাদা মনস্তত্ত্বের উৎখননই প্রাধান্য পাচ্ছে জনপরিসরে। দুর্নীতি বিন্যাসের কাজে শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছে,অর্থনৈতিকভাবে তুলনায় এগিয়ে চলেছে দেশ, দুর্নীতির হার বেশি, দেখা যাচ্ছে একই সঙ্গে প্যারালিক দুর্নীতি ও এগিয়ে চলেছে এবং বেড়ে চলেছে এমনকি বিশ্লেষকদের মতে এই দুর্নীতির জনপরিসরে ক্ষেত্রেও এই প্রবণতাটি সত্য। আর্থ-সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে দুর্নীতির মুখোমুখি হচ্ছেন নানা প্রতিবন্ধতা সামাজিক গতিশীলতা বাধা পাচ্ছে, বাড়ছে না দুর্নীতির নিয়ন্ত্রণ সামাজিক, মানসিক ও বিশেষত আর্থ-সামাজিক অর্থনীতি থেনস্থা বেড়েই চলেছে দুর্নীতির কারণে। রাষ্ট্রনেতা, সমাজ-নিয়ন্তারাও বড় মুখ করে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলছেন, অথচ ঠেলেও দিচ্ছে। আর্থ-সামাজিক অর্থনীতি দুর্নীতির আত্মহননের পথে, এর চেয়ে দ্বিচারিতার অপরাধ আর কী-ই বা হতে পারে, এই একুশ শতকে। লেখক : ব্যবসায়ী