মুশফিক ওয়াদুদ: জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি কার্যকর করার ঘোষণা আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরেকটি ব্যর্থতা। বিশেষভাবে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা দূতাবাসের কর্তাদের। সময়টা আচ করতে পারেননি। একধরনের মিসক্যালকুলেশন ছিল। আমার মনে হয় আওয়ামী লীগের নেতাদের ধারণার মধ্যে থাকলে একদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বাইডেনের ফটোসেশন স্যোশাল মিডিয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এভাবে প্রচার করতেন না। এই প্রচার বা এর আগের সেলফির প্রচার আওয়ামী লীগের নেতার্কীদের স্যোশাল মিডিয়াতে হাস্যকর বানিয়ে দিয়েছে।
দ্বিতীয়তা, এমন ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে একটি এন্টি-আমেরিকান অবস্থান থাকলে ডমেস্টিক অডিয়েন্সের কাছে কিছুটা সুবিধা পেতেন। ভিসানীতি কার্যকর করার ঘোষণা একটি নজিরবিহীন ঘটনা। এখন সরকার যে অবস্থায় আছে তাতে নির্বাচন থেকে হয়তো সরিয়ে আনতে পারবে না। কিন্তু নির্বাচন হয়ে গেলেও নতুন সরকার একটি শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। আর যুক্তরাজ্য এবং কানাডা যদি একই নীতি অনুসরণ করে তবে আওয়ামী লীগ বড় ধরনের সঙ্কটে পরবে। লেখক ও গবেষক