সৈয়দা সাজিয়া আফরিন: কোনো নারী যখন বিয়ের সম্পর্কে প্রতারিত হন তখন তিনি কষ্ট, অপমান আর অনিশ্চয়তা অনুভব করেন। একটা বিয়েতে নারী তার সর্বস্ব বাজি রাখেন। শ্রম, টাকা, সময়, বাচ্চা জন্মদান। একটা প্রতারণায় মুহূর্তে সে সব কিছু তাসের ঘরের মতো খসে পড়ে যায়। নারীটি কেন যে বুঝতে চান না যে তার সাথে তার প্রেমিক বা জামাই প্রতারণা করছে, ছকিনা-জরিনারা না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েরা বিবাহিত ছেলের দিকে তাকায় না, বিবাহিত লুচ্চারা মেয়েদের দিকে তাকায়। শুধু তাকায় না ফাঁদে ফেলে, দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে শারীরিক নিপীড়ন করে।
ক্ষমতা তাকে বলে, যখন, জামাইটিকে দিয়ে পা চাটাতে পারবেন৷ একটা দুর্বল ক্ষমতাহীন নারীকে দিয়ে পা চাটিয়ে কী কোনো সুরাহা হয়? মনে শান্তি হয়? বিশ্বাস করেন কিছুই হয় না। আপনি ছকিনাকে ক্লোজ করার পর জামাই লুইচ্চাটা তো যাবে জরিনার কাছে, তারপর রোখসানার কাছে, বিলকিসের কাছে। ঘরের শয়তানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে কেবল মেয়েটাকে শেম করাটা কী ঠিক? মেয়েটার জন্য আমার খুব খারাপ লাগছে। নারী অন্য একটা নারীকে এতোটা অমানবিক অপমানজনক, লজ্জাজনক শাস্তি কীভাবে দিতে পারে? লেখক: সম্পাদক, উইম্যানভয়েসবিডি.কম