শামসুদ্দিন পেয়ারা: জুতা মেরে গরু দান, নাকি, গরু মেরে জুতা দান? কোনটা ঠিক? কেউ কেউ বলছেন, দুটোই ঠিক। আবার কেউ বলছেন, এটা ঠিক তো কেউ বা বলছেন, ওটা ঠিক। কেউ কাউকে জুতা মারে না, জুত করে আচ্ছাসে জুতাপেটা করে। যাকে জুতাপেটা করে তাকে যাবার সময় যে একটা গরু দান করে, সেটাও না। আজকাল গরুর দাম এক লাখের উপরে। দান করার ইচ্ছা থাকলেও দান করা যায় না। জুতা মারা আর জুতাপেটা করার মধ্যে বিস্তর তফাত আছে। জুতা মারা মানে দূর থেকে কারো প্রতি পাদুকা নিক্ষেপ করা।
ওটা সাধারণত নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের প্রতি উষ্মা প্রকাশের নিমিত্ত করা হয়। যাঁদেরকে জুতা মারা হয় তাঁরা কখনো ক্ষতিপূরণ হিসাবে গরু দাবি করেন না। বরং ক্ষমতায় গিয়ে গোটা দেশবাসীকে গরু বানিয়ে তাদের কাঁধে উন্নয়নের (অবশ্যআত্মোন্নয়নের) জোয়াল তুলে দিয়ে অতঃপর তাদের চামড়া দিয়ে জুতা বানিয়ে সে জুতা পরে গণভবন, বঙ্গভবন, জাতীয় সংসদ, সচিবালয় ও সেনানিবাসে নিয়মিত গমনাগমণ করেন। ইদে-চাঁদে সেসব জুতা তাঁরা জনগণকে দানকরে থাকেন। পত্রিকায় নিউজ হয়। ওটাকে বলে চাঁদির জুতো। কারও গরু মেরে তার মাংসটাংস ও নলির সূপ খেয়ে সে গরুর চামড়া দিয়ে একজোড়া জুতা বানিয়ে গরুর মালিককে পাঠানোটাই অনেক সহজ। পাড়ায় একজন মুচি থাকলেই হলো। লেখক : মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র সাংবাদিক