শামসুদ্দিন পেয়ারা, ফেসবুক থেকে: যে দেশে একব্যক্তির স্বৈরশাসনকে গণতন্ত্র, পুলিশ দিয়ে ব্যালটবাক্স ভরে দেয়াকে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন, ভোট জালিয়াতিকে নির্বাচনের স্বচ্ছতা, ভোটারহীন বুথগুলোকে ভোটারদের অংশগ্রহণমূলক স্বতঃস্ফূর্ততার প্রমাণ, বিরোধীদলনকে রাজনৈতিক শিষ্টাচার, মিডিয়ার শ্বাসরোধ করাকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সভা-শোভাযাত্রা করতে না দেয়াকে শান্তিশৃঙ্খলারক্ষা বলা হয় -- সে দেশে বার বার ভুল প্রমাণিত সেই ঔপনিবেশিক পদ্ধতির নির্বাচন আবারও করা হলে দল, পার্লামেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর স্বৈরশাসনের কবল থেকে এ দেশকে আর কখনোই উদ্ধার করা যাবে না।
আগামি নির্বাচন হবে এ দেশে গণতন্ত্র কায়েমের শেষ পরীক্ষা। এবারে ব্যর্থ হলে এদেশ থেকে গণতন্ত্র ও সুশাসন চিরদিনের জন্য নির্বাসিত হবে।
নির্বাচনের স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতার চেয়ে নির্বাচন পরবর্তী শাসনব্যবস্থার ধরন ও প্রকৃতি কী হবে ঔপনিবেশিক গণতন্ত্র চর্চার পঞ্চাশ বছর পর সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচন নয়, নির্বাচনোত্তর শাসন ব্যবস্থাই এখন মুখ্য বিষয়।