শিরোনাম
◈ সামরিক কর্মকর্তার পরিচয়ে হুমকি, সহায়তা চাইলেন গোলাম মাওলা রনি ◈ আলোচিত ‘তুমি কে? আমি কে?, রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানের যে ব্যাখ্যা দিলেন উপদেষ্টা নাহিদ ◈ ‘মুরুব্বি মুরুব্বি’ ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা বললেন তাহেরী (ভিডিও) ◈ মধ্যরাতে নেতাকর্মীদের জরুরি যে নির্দেশনা দিল আওয়ামী লীগ ◈ দুই বাংলার সিনেমা অঙ্গনে বাড়ছে ‘দুরত্ব’ ◈ ‘বিড়াল ধরে খাওয়ার অপরাধে’ হাইতির অভিবাসীদের তাড়াতে চান ট্রাম্প ◈ বাংলাদেশের উন্নয়নে ২০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা যুক্তরাষ্ট্রের ◈ বাংলাদেশ ও ভারতের তিনজন করে ক্রিকেটার রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে  ◈ ধর্ষণ মামলা নিতে দেরি করায় ওসি গ্রেপ্তার! ◈ সাবেক মন্ত্রী-এমপি ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ ৫৮৯ জনের পাসপোর্ট বাতিল

প্রকাশিত : ০৬ জুন, ২০২৩, ০২:২২ রাত
আপডেট : ০৬ জুন, ২০২৩, ০২:২২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শেখ হাসিনার অতিসাম্প্রতিক মার্কিন-বিরোধিতা কি সাম্রাজ্যবাদ বিরোধিতার অংশ?

জাকির তালুকদার

জাকির তালুকদার: শেখ হাসিনার অতিসাম্প্রতিক মার্কিন-বিরোধিতা কি সাম্রাজ্যবাদ বিরোধিতার অংশ? মোটেই না। পিতার মতো সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ভূমিকা তিনি কখনোই পালন করেননি। বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফ-কে কখনোই অগ্রাহ্য করেননি। পদ্মাসেতু ইস্যুতে বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে কিছু কথা বললেও বেশি বেশি করে জড়িয়েছেন বিভিন্ন প্রকল্পে। সাম্রাজ্যবাদবিরোধী হলে কেউ দেশে মুক্তবাজার পুঁজিবাদী অর্থনীতি চালু করে না। দেশের সম্পদ লুট করে আমেরিকা-কানাডা-মালয়েশিয়া-ইউরোপে পাঠানোতে নীরব সম্মতি দিয়ে যায় না। পুঁজিবাদের প্রবর্তন তো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরাসরি পরিপন্থি। তাই আওয়ামী লীগ থেকে শেখ হাসিনার সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ভূমিকার কথা প্রচার করার চেষ্টা কোনো ফল বয়ে আনতে পারবে, এমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। অন্যদিকে বিএনপি এসবের ধার ধারে না। 

তারা শুরু থেকেই পুঁজিবাদের পথে হাঁটছে। আমেরিকাকে নিজেদের প্রধান মেন্টর মানে। আওয়ামী লীগ ওয়াশিংটন এবং দিল্লি দুটোকেই মেন্টর মানে। আমেরিকা এতদিন ভারতকে এই অঞ্চল সাবলিজ দিয়ে রেখেছিল। কিন্তু নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কাকে ভারত চীনের বলয়ে ঢোকা ঠেকাতে পারেনি। বাংলাদেশেও সেটি ফেইল করছে। মুখে যতই স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কের কথা বলুক, বাস্তবে বাংলাদেশে ভারতের চাইতে চীনের ভূমিকা এখন অনেক বেশি। তাই ভারতকে দিয়ে আর বিশ্বাস পাচ্ছে না আমেরিকা। নিজেই হ্যান্ডল করছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুটোই তাদেরই দল। দুটোই শোষক শ্রেণির প্রতিনিধি। একদলকে ১৫ বছর লুটপাটের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অন্যদলকে আরও বেশিদিন বঞ্চিত রাখলে তাদের গোস্বা বেড়ে যাবে। সমঝোতার মাধ্যমে মিলেজুলে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল আমেরিকা। 

কিন্তু আওয়ামী লীগ তাতে নারাজ। তাই রেজিম পরিবর্তনের ব্যবস্থা নিচ্ছে ওয়াশিংটন। শেখ হাসিনার অগত্যা মার্কিন-বিরোধিতাকে তাই আমলে নিচ্ছে না প্রগতিশীল মহল। উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের পর কোনো নির্বাচনে একক শক্তিতে জেতেনি আওয়ামী লীগ। সাইলেন্ট প্রগতিশীল ভোট তাদের বাক্সে না ঢুকলে তারা শতাধিক আসনে হেরে যায়  ৩০০ থেকে ৩০০০ ভোটের ব্যবধানে। যেমন ২০০১ সালে। অনেক দুধকলা খাওয়ানোর পরেও আওয়ামী লীগ জানে হেফাজতের একটা ভোটও তাদের বাক্সে ঢুকবে না। তাই আবার প্রগতিশীল ভোটারদের দিকে ঝোঁক তাদের। অনেক সাংস্কৃতিক এজেন্টকে ঢুকিয়ে দিয়েছে প্রগতিশীল লোকদের মগজ ধোলাই করতে। কিন্তু মগজ এখন অনেক অভিজ্ঞ। তাদের বড় অংশ এখন কে কম খারাপ, এই পুরাতন বিবেচনা থেকে সরে এসে নিজের জন্য জায়গা নির্মাণ করতে চায়। চাওয়া উচিত সেটাই। লেখক: কথাসাহিত্যিক। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়