শিরোনাম
◈ কলকাতায় ভাঙচুরের ঘটনায় লিওনেল মেসি দায়ী: সু‌নিল গাভাস্কার ◈ ডিসেম্বরের মধ্যে পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীদের আমানত ফেরত দেওয়ার নির্দেশ গভর্নরের ◈ মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা ছাড়া ভারত বিজয় অর্জন করতে পারতো না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ◈ সৌদিতে হলরুম ভাড়া করে নির্বাচনী সভা করায় কয়েকজন বাংলাদেশি আটক ◈ ৩০০ আসনের লড়াই: আসন ছাড়ে অনীহা, জোট রাজনীতিতে বাড়ছে টানাপোড়েন ◈ হাদিকে গুলি: প্রধান অভিযুক্তের ‘জামিন বিতর্ক’ নিয়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা ◈ পে স্কেল নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে যে সিদ্ধান্ত নিল কমিশন ◈ মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ট্রাভেল পাস চাননি তারেক রহমান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে বৈঠকে লন্ডন গেলেন জামায়াত আমির ◈ সরকারি গাড়িতে যুগ্ম সচিবকে জিম্মি, ৬ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা

প্রকাশিত : ২৬ মে, ২০২৩, ০২:০৬ রাত
আপডেট : ২৬ মে, ২০২৩, ০২:০৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার প্রশ্নে মার্কিন এই ভিসা-নীতি একটু হলেও অবদান রাখবে

আনিস আলমগীর

আনিস আলমগীর: বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে যারা বাধা দেবে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ভিসা দেবে না বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের ২৪ মে’র ঘোষণায় দেখছি বাংলাদেশের বিরোধী শিবিরে ঈদ আনন্দ লেগেছে। বিদেশে অবস্থানরত ভাইদের চিৎকার একটু বেশি, ভাবখানা যে তারাই এই ভিসা রেস্ট্রিকশন এনেছে। ভোটদানে বাধা কি শুধু সরকারি দল থেকে আসে? অতীত ইতিহাস কী বলে? বিএনপি অভিযোগ করে, ২০১৮ সালে নির্বাচনে রাতে ভোট হয়ে গেছে, অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যাও নয়। বিরোধী দলের লোকজনকে ভোটদানে বাধা দেওয়া হয়েছে তেমন দৃশ্য খুব চোখে না পড়লেও, ভোটের আগেই তারা অনেকে বাড়িছাড়া ছিলো, বিরোধী নেতাকর্মীদের জেলে দেওয়া হয়েছে, এটা সত্য। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনে কী হয়েছিলো? বিএনপিসহ অনেক বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি। অর্ধেকেরও বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে আওয়ামী জোটের এমপিরা।
জনগণের ভাগ্যে কী জুটে ছিলো? যারা ভোট দিতে আগ্রহী ছিলো তাদের জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনের মাধ্যমে বিরত রাখা হয়েছিলো। ২৫ নভেম্বর ২০১৩ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকে ভোটের আগের দিন পর্যন্ত বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধীদলীয় জোট ছয় দফায় ২৬ দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। এই সময় সারা দেশে প্রাণ হারিয়েছেন ১২৩ জন। আর নির্বাচনের দিন বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক সহিংসতার ঘটনায় নিহত হয়েছে কমপক্ষে ১৮ জন। 
সব মিলিয়ে এই নির্বাচনের জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে কমপক্ষে ১৪১ জনকে। নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয়েছে প্রিসাইডিং অফিসারকেও। অন্তত দেড়শ স্কুল কলেজ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিলো যেগুলো ভোট কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ভোটাধিকার ক্ষুণ্ন শুধু আপনার ভোট রাতে দিয়ে দিলে হয় না, ভোট দিয়েছেন বলে কিংবা ভোট দিতে যাচ্ছেন বলে আপনাকে পিটিয়ে মারাও এর মধ্যে পড়ে। ভোট দেওয়া না দেওয়া, দুটোই নাগরিক অধিকার। সমস্যা হচ্ছে রাজনৈতিকভাবে অন্ধ ভেড়ার পাল ভোটারা ভোটাধিকার ক্ষুন্ন হওয়ার বিষয়টি নিজ নিজ রাজনৈতিক দৃষ্টিতে দেখেন, অন্যের অধিকার তাদের চোখে পড়ে না।
সে কারণেই আমেরিকান নতুন ভিসা-নীতি দেখে অনেকে লাফাচ্ছেন, যেন ভোটাধিকার হরণের তালিকায় শুধু সরকারি দলকে রাখা হয়েছে, বিরোধী দলকে রাখা হয়নি। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার প্রশ্নে মার্কিন এই ভিসা-নীতি একটু হলেও অবদান রাখবে। এটাকে সব পক্ষের ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা উচিত। লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়