শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ২৬ মার্চ, ২০২৩, ০২:০৩ রাত
আপডেট : ২৬ মার্চ, ২০২৩, ০২:০৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্বাধীনতা-বাঙালির হাজার বছরের সেরা অর্জন

গোলাম সারোয়ার

গোলাম সারোয়ার: মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা হলো বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন। এর আগে হাজার বছর ধরে পৃথিবীর বহু জাতি আমাদের শাসন করে গেছে। লুটপাট করে নিয়ে গিয়েছে আমাদের সম্পদ। আর্যদের আমল থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন জাতি বিভিন্ন উদ্দেশ্যে সিন্ধু সভ্যতায় এসেছিলো; কখনো বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে, কখনো ধর্মদর্শন প্রচারের উদ্দেশ্যে। এসে তাদের কেউ কেউ হয়ে গিয়েছিলো শাসক। তারই পরিক্রমায় সর্বশেষ আমাদের এই উপমহাদেশে এসেছিলো ব্রিটিসরা। 

ব্রিটিসরা আমাদের উপমহাদেশকে প্রায় পৌনে দু’শ বছর শাসনশোষণ করে যায়। এই বিস্তৃত সময়ে তাদের হাত থেকে স্বাধীন হতে জেগে উঠা প্রতিটি দ্রোহ পরাস্ত হয়েছিলো। অবশেষে ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চে আনিত ‘লাহোর প্রস্তাব’ অনুসারে ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট মুসলমান সংখ্যাগষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে পাকিস্তান এবং ১৫ আগস্ট হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে ভারত নামের দুটি দেশের জন্ম হয়। প্রায় পাঁচ হাজার বছরের সিন্ধু সভ্যতা এভাবে দু’খণ্ডে ভাগ হয়ে গেলো দু’দিনের ব্যবধানে। 

পাকিস্তানের দুটি ভূখণ্ডের মাঝে দূরত্ব প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার। মাঝখানে বিশাল ভারত। দুই ভূখণ্ডের মানুষের মাঝে ভাষা, খাদ্যাভ্যাস, পোশাক, সংস্কৃতি কিংবা মূল্যবোধ কোনো কিছুরই মিল ছিলো না। মিলের মাঝে মিল ছিলো শুধু ধর্মের। এই অবস্থায় একটি দেশ টিকতে পারার কথা নয়। কারণ জাতি হিসেবে জাতিসত্তা পরিস্ফুট হতে হলে যেসব কমন উপাদান লাগে সেসব এই দুটি জাতির মাঝে অনুপস্থিত ছিলো। এই অবস্থায় মানসিক এবং মানবিক সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠে এবং হলোও তাই। 

জন্মের শুরু থেকে পশ্চিম পাকিস্তান, পূর্ব পাকিস্তানের ভাষা, সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের প্রতি একধরনের অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে শুরু করে। পাকিস্তানের দুই অংশের মাঝে মানসিক ব্যবধানের প্রথম বিভেদ রেখা প্রকটভাবে ফুটে উঠে ভাষার প্রশ্নে। ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মুহাম্মাদ আলী জিন্নাহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘোষণা দেন, ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা’।

এই ঘোষণার সাথে সাথে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়ে । ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষার প্রশ্নে আন্দোলন তীব্রতম রূপ ধারণ করে। এদিন পুলিশের গুলিতে প্রাণ দেন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার-সহ আরো অনেকে। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী শেষ পর্যন্ত ১৯৫৬ সালে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হলো, যা আজ পৃথিবীব্যাপী ২১ ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালিত হয় ।

শুধু ভাষাতেই পাকিস্তানের দুই অংশের মনান্তর সীমাবদ্ধ রইলোনা। বৈষম্য ছড়িয়ে পড়লো পরতে পরতে। দেশভাগের সময় পশ্চিম পাকিস্তানের জনসংখ্যা ছিল দুই কোটি আর পূর্ব পাকিস্তানের চার কোটি। সঙ্গত কারণেই শিক্ষা-দীক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য, পুলিশ-মিলিটারি, সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তা সবকিছুতই পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের অংশগ্রহণের পদ্বিগুণ হওয়ার কথা। কিন্তু হলো না। 

দেখা গেলো সবকিছুতেই পশ্চিম পাকিস্তানের ভাগ ছিল শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগ। বাজেটের ৭৫ শতাংশ ব্যয় হতো পশ্চিম পাকিস্তানে। অথচ পূর্ব পাকিস্তান থেকে রাজস্ব আয় হতো শতকরা ৬২ ভাগ। সবচেয়ে ভয়ংকর অবস্থা ছিল সেনাবাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে। পূর্ব-পাকিস্তানের তুলনায় পশ্চিম পাকিস্তানের সৈন্য সংখ্যা ছিল ২৫ গুণ বেশি। দেখা গেলো, কায়েম হওয়ার পর পাকিাস্তানের ২৩ বছরের ইতিহাস হয়ে উঠলো পশ্চিম পাকিস্তান কর্তৃক পূর্ব পাকিস্তানকে শোষণের ইতিহাস ।

জনসংখ্যার দিক দিয়ে পূর্ব পাকিস্তান পাকিস্তানের বৃহত্তর অংশ হওয়া সত্ত্বেও দেশের রাজনৈতিক ক্ষমতা থাকতো পশ্চিম পাকিস্তানে। যখনই পূর্ব পাকিস্তানের কোন নেতা, যেমন খাজা নাজিমুদ্দিন, মোহাম্মদ আলী বগুড়া, অথবা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতেন তখনই তাঁদের পদচ্যুত করা হলো। নানা রকম তালবাহানা করে জেনারেল আইয়ুব খান ১৯৫৮ সালে থেকে দীর্ঘ ১১ বছর তার স্বৈরতান্ত্রিক শাসন চালু রাখলো । 

এরকম প্রেক্ষাপটে ১৯৬৬ সালে ৬ দফা ঘোষণা করলেন পূর্ব বাংলার অবিসংবাদত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। ছয়দফা ছিলো পূর্ব বাংলার স্বায়ত্বশাসনের রূপরেখা। মূলত ছয়দফা ছিল পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালির সবরকম অর্থনৈতিক শোষণ, বঞ্চনা আর নিপীড়ন থেকে মুক্তির এক অসাধারণ দলিল। ছয় দফার পর বঙ্গবন্ধুকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে দেশদ্রোহিতার মামলার প্রধান আসামি করা হলো। পরিণামে সারা বাংলায় আন্দোলন শুরু হয়ে গেলো। 

এ সময় আন্দোলন এগিয়ে নিতে থাকে ছাত্ররা। তারা দিলো এগারো দফা দাবি। এগিয়ে এলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। দেখতে দেখতে সেই আন্দোলন একটি গণবিস্ফোরণে রূপ নিলো। এরই জের ধরে ‘৬৯-এ হয় গণ অভ্যুত্থান। ঊনসত্তরের গণআন্দোলনে প্রাণ দিয়েছিল মতিউর এবং আসাদ। তাঁর নামে হয় আসাদ গেট। আগে এই  স্থাননাম ছিল আইয়ুব গেট। পাকিস্তান সরকার শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান-সহ সব নেতাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হলো। পরাক্রমশালী আইয়ুর খান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইয়াহিয়া খানকে ক্ষমতা দিয়ে বিদায় নিলো।

ইয়াহিয়া খান ক্ষমতায় এসে পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দিলো। ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল হলো; পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ৩১৩টি আসনের মাঝে পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ ১৬৭টি, পশ্চিম পাকিস্তানে জুলফিকার আলী ভুট্টোর দল পিপল্স পার্টি ৮৮টি এবং অন্যান্য সব দল মিলে পেয়েছে বাকি ৫৮টি আসন। তারপর ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু না করে ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের ৩ মার্চের অধিবেশন স্থগিত করে দিলো দু’দিন আগে ১ মার্চ। 

এ ঘোষণার পর পূর্ব বাংলায় লক্ষ লক্ষ মানুষ পথে নেমে আসে। পুরো ঢাকা শহর দেখতে দেখতে একটি মিছিলের আর শ্লোগানের নগরীতে পহয়। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে এক ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন। এই ভাষণে তিনি ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশনের আগেই বাস্তবায়নের জন্য চার দফা দাবি পেশ করেন। এসব দাবি পূরণ করা না হলে কি হবে তার পরিণাম তিনি দীপ্তকণ্ঠে ঘোষণা করলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’।  

এর আগেই ছাত্ররা ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। ৩ মার্চ ছাত্রলীগের জনসভায় জাতীয় সংগীত হিসেবে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি নির্বাচন করা হয়। সারাদেশে হরতাল ও অনির্দিষ্টকালের অসহযোগ আন্দোলনের চলছে। ছাত্ররা কারফিউ মানছেনা। এরকম পরিস্থিতিতে জেনারেল ইয়াহিয়া খান বেলুচিস্তানের কসাই নামে পরিচিত জেনারেল টিক্কা খানকে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর করে পাঠাল। পূর্ব পাকিস্তানের কোনো বিচারপতি তাকে গভর্নর হিসেবে শপথ করাতে রাজি হলেন না। ১৯ মার্চ জয়দেবপুরে বাঙালি সেনারা বিদ্রোহ করে বসে। তাঁদের থামানোর জন্য ঢাকা থেকে যে সেনাবাহিনী পাঠানো হয় তাদের সঙ্গে সাধারণ জনগণের সংঘর্ষে অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারায়। ২৩ মার্চ ছিল পাকিস্তান দিবস, কিন্তু সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্ট আর গভর্নমেন্ট হাউজ ছাড়া সারা বাংলাদেশের কোথাও পাকিস্তানের পতাকা উড়লো না। 

সারাদেশ যখন ক্ষোভে উত্তাল, তখন ইয়াহিয়া খান ঢাকায় এসে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সরকার গঠন ও ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে আলোচনা শুরু করলেন। ২৫ মার্চে মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক ভেস্তে গেলে ইয়াহিয়া গোপনে ইসলামাবাদে ফিরে যান সামরিক বাহিনীকে বাঙালি নিধনযজ্ঞের সবুজ সংকেত দিয়ে। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির উপর চালায় ‘অপারেশন সার্চলাইট’। গণহত্যা চালানোর পর পাকিস্তানি সেনারা সেই রাতেই বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পাঁচজন বিশ্বস্ত সহকারীকে গ্রেফতার করে। এরপর প্রতিরোধ যুদ্ধ ছাড়া বাঙালিদের হাতে আর কোনো বিকল্প রইলো না। ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার পর শুরু হয় মহান মুক্তযুদ্ধ ।

বাঙালিরা পুরো দেশকে এগারোটি সেক্টরে ভাগ করে গেরিলা পদ্ধতিতে মুক্তিযুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকে। এভাবে যুদ্ধ ডিসেম্বর পর্যন্ত গড়ায়। যুদ্ধে বাঙালিদের অসীম মনোবলে পাকিস্তানিরা পর্যুদস্ত হতে থাকে। পর্যুদস্ত পাকিস্তান এবার অপরিণামদর্শী হয়ে ভারতের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ৩ ডিসেম্বর বিকেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড ময়দানে এক বিশাল জনসভায় বক্তৃতাদানকালে ভারতের বিভিন্ন বিমান ঘাঁটিতে পাকিস্তান বিমান আক্রমণ শুরু করে। ভারতও এর জবাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ভারতের সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সাথে যুক্ত হয়ে যৌথবাহিনী তৈরি করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। তার ১৩ দিনের মাথায় যৌথবাহিনীর কাছে পাকিস্তান পরাস্ত হয়। 

১৬ ডিসেম্বর বিকেলে রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর অধিনায়ক এ. এ. কে নিয়াজী ৯৩ হাজার সৈন্য নিয়ে আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করে, যা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীর সর্ববৃহৎ আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান। ত্রিশ লাখ শহীদ আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে বীর বাঙালি বহু আকাক্সিক্ষত বিজয় অর্জন করে নয় মাস সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে। পৃথিবীতে বহু কম জাতি আছে যারা সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বাঙালি সে হিসেবে একটি অনন্য প্রতাপশালী বীরের জাতি। আর এই বিক্রমের শুরু হয় ২৬ মার্চ, ১৯৭১ সালে। হাজার বছরের বাঙালির ইতিহাসে তাই এই দিনটি আমাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতার স্বপ্নে সংগ্রামরত পৃথিবীর প্রতিটি জাতির জন্যেই এটি একটি অনুপ্রেরণার দিন। লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়