লীনা পারভীন: পুরুষগুলো হেডম না থাকলেও নারীকে তার অধীনে রাখতে চায় কেবল গলার স্বরের তারতম্য দিয়ে। ভাবে গরম করে স্বর বের করলেই হয়তো ভয়ে কুকিয়ে যাবে নারী। হ্যাঁ। নারী-পুরুষের তারস্বরকে ভয় পায় কারণ সে সম্মান দিতে চেয়েছিলো বলেই সে পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়েছিলো। সেই আস্থা ও সম্মানের জায়গাটায় আঘাত আসে বলেই নারী ভয়ে কুঁকড়ে যেতে চায়। মায়া আর সংসারের জঞ্জাল থাকে এতোটাই আষ্ঠেপিষ্ঠে বেঁধে রাখে যে সেই প্যাঁচ খুলতে খুলতে একটু সময় লাগে এই যা। এই যে খুলতে গিয়ে সময় পাওয়া এই সময়টাই নারীর সাহস অর্জনের সময়। কারণ সে তখন দ্রোহ আর ত্যাজে থাকে। নতুন কোন মায়া আর তাকে নতুন প্যাঁচ দিতে পারেনা। একটা সময়ে সে নিজেকে আবিষ্কার করে সকল মায়ারা তাকে ছেড়ে গেছে আর সে একদম হালকা।
এতোটাই হালকা বোধ হয় যে জগতের আর কোন কিছুর প্রতি নতুন করে মায়া জন্মানোর জায়গা কম থাকে। বোকা পুরুষ নারীর এই সময়টাকে মনে করে তার বিজয়। ভিতরে পৌরষত্বের টগবগে বীর্য তাকে আরো তেজোদ্দিপ্ত করে তোলে। তখন নিয়ন্ত্রন করতে চাওয়ার সাধ আরও বেড়ে যায়। পুরুষের বাড়ে পুরুষ হবার বাসনা আর যতই সে পুরুষ হতে চায় ততই নারী স্বাধীন হতে চায়। ততই সে পুরুষের প্রতি মায়াকে শৃঙ্খল হিসেবে আবিষ্কার করে। বীর্যের গরম যখন ঠান্ডা হয়ে আসে তখন পুরুষ আবিষ্কার করে পাশের মানুষটাকে সে জয় করতেতো পারেইনি বরং তিলে তিলে হত্যা করে তাড়িয়ে দিয়েছে। তখন আর ফিরে আসা বা ফিরিয়ে আনার সুযোগ কোনটাই অবশিষ্ট থাকেনা। বাঙালি পুরুষের পৌরষত্ব থাকে তাদের বীর্যে, মগজে নয়। ফেসবুক থেকে