শিরোনাম
◈ কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল খুলনা, প্রেস সচিবকে ঘিরে আন্দোলনকারীদের অবস্থান ◈ বিষাক্ত কীটনাশক বন্ধে প্রয়োজনে রাস্তায় নামবো: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ◈ টাঙ্গাইল যৌনপল্লীতে অগ্নিকাণ্ড, ১২টি ঘর পুড়ে ছাই ◈ কোটালীপাড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা হরগবিন্দ বিশ্বাস গ্রেপ্তার ◈ শিগগিরই হতে পারে রোডম্যাপ ঘোষণা, প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি ◈ চট্টগ্রামে সরবরাহ বাড়লেও স্বস্তি মেলেনি সবজির বাজারে, বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম ◈ মধুপুরের জঙ্গলে গভীর রাতে ঘোড়ার মাংস প্রক্রিয়াকরণ, একজন আটক ◈ শিক্ষা কর্মকর্তার অবহেলায় সুবর্ণচরে ৫৪টি বিদ্যালয়ের বরাদ্দ ফেরত ◈  শেরপুরে ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে নবজাতক কন্যা শিশু চুরির ঘটনায় তোলপাড়  ◈ আওয়ামী লীগ ছেড়ে ইসলামী আন্দোলনে ঝিনাইদহের আলম বিশ্বাস

প্রকাশিত : ০৯ নভেম্বর, ২০২২, ০২:৫৯ রাত
আপডেট : ০৯ নভেম্বর, ২০২২, ০২:৫৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আর্জেন্টিনাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে ভুল করছেন না তো!

ইমতিয়াজ মাহমুদ

ইমতিয়াজ মাহমুদ: শোনেন, আর্জেন্টিনা দলকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবেন না। ওরা দুইবার বিশ্বকাপ জিতেছে। অনেক দূরের অতীতে জিতেছে, তবে জিতেছে তো বটে। ১৯৭৮ সালে জিতেছে একবার। নিজেদের মাঠে সেবারের আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয় নিয়ে রয়েছে বেশ কৌতূহল জাগানিয়া গল্প। এরপর জিতেছে ১৯৮৬ সালে। দুইবার করে যেসব দল বিশ্বকাপ জিতেছে, হোক সে সুদূর অতীতে বা ভুলে যাওয়া কোনো সময়েÑ যেমন উরুগুয়ের কথা ধরেনÑ এইসব দলকে সম্মান করতে হয়। এইসব দলকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করবেন না। ব্রাজিল বা জার্মানি না হোক, ফুটবল খেলুড়ে জাতি হিসাবে এরা অনেকের চেয়ে অগ্রগণ্য তো বটেই। ভালো টিম। তাছাড়া আর্জেন্টিনার কিছু অসাধারণ দিকও আছে। দুইটা দিক বলি। একটা হচ্ছে- ফুটবল ইতিহাসের সর্বকালের সেরাদের মধ্যে দুইজন খেলোয়াড় আর্জেন্টাইন। দিয়েগো মারাডোনা একজন, আর আরেকজন তো এখনো খেলছেন লিওনেল মেসি। মারাডোনা ছিলেন ফুটবল ইতিহাসের অত্যাশ্চর্য একটি শিল্পিত অধ্যায়। ফুটবল নামক শিল্পটির জন্যেই এটা একটা অত্যাশ্চর্য সৌভাগ্য যে মারাডোনা নামক অপেক্ষাকৃত খর্বাকৃতি এক্তি বালক সত্তরের দশকে আর্জেন্টিনায় ফুটবল খেলতে নেমেছিল। ১৯৭৮ সালে যখন আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হয় সেই দলে মারাডোনা ছিলেন নাÑ তিনি তখন নিতান্ত ১৭ বছরের একটি বালক।

কিন্তু তখনই আর্জেন্টিনাসহ ফুটবল বিশ্বের সকলে জেনেছিল যে এই বালকটি একজন অসাধারণ ফুটবলার। ১৯৮৬’র বিশ্বকাপটি তো বলা হয় মারাডোনা একাই জিতেছেন (সাথে ঈশ্বরের একটু ইয়ে ছিল আরকি)। আর্জেন্টিনার আরেকটি অভাবনীয় দিক হচ্ছে বাংলাদেশে (এবং পৃথিবীর আরও অনেক দেশে) ওদের বিপুল সমর্থকের দল। মারাডোনার কারণেই বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার প্রতি হিস্টিরিয়ার মতো প্রবল জনসমর্থন শুরু। ৮২র বিশ্বকাপের কিছু খেলা বাংলাদেশে আমরা প্রথম সরাসরি দেখি। ১৯৮৬’র বিশ্বকাপ প্রায় পুরোটাই দেখতে পেয়েছিলাম টেলিভিশনে সরাসরি। ওই সময় আর্জেন্টিনাপ্রীতি শুরু হয় দেশে। সেটা এখনো বিদ্যমান আছে। এখনো বাংলাদেশের কতই মানুষ আশায় বুক বেঁধে বিশ্বকাপ দেখতে বসে, আহা! এইবার যদি আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিততে পারে। আর্জেন্টিনা তো হায় আর জিতে না। সেই সামর্থ্য ওদের আর নাই। লিওনেল মেসি রয়েছে ওদের দলে, অতি চমৎকার খেলোয়াড়, কিন্তু দলটা তো আর জিতে না। 

আমার বন্ধুদের মধ্যেও বিপুল সংখ্যক আর্জেন্টিনা সমর্থক আছেন। বেশ গোঁড়াকট্টরঅন্ধ ধরনের সমর্থকও আছেন কিছু। খেলাধুলায় এরকম থাকেই। ভক্ত বা সমর্থক হওয়া সে তো একটা ভিন্ন প্রক্রিয়া। তবুও আর্জেন্টিনা দলের সমর্থকদেরকে আমার বেশ লাগে। ওরা মনে করে এখনো আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিততে পারে। আহা! ভালোবাসায় মানুষের দৃষ্টি কতো ইয়ে হয়ে যায়। এবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা পড়েছে সৌদি আরব মেক্সিকো আর পোল্যান্ডের সাথে গ্রুপ সিতে। খারাপ না। একটু কষ্ট হবে, তবুও আশা করি আর্জেন্টিনাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে। বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার ভক্ত সমর্থক যারা আছেন, আপনাদের সবাইকে অগ্রিম শুভেচ্ছা। বিশ্বকাপ উপভোগ করুন, ফুটবল উপভোগ করুন। লেখক: আইনজীবী। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়