জিয়া উদ্দিন সিদ্দিকী, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলী পৌরসভার শতাধিক ডোবা-নালা যেন মশার আতুর ঘর। শহর জুড়ে ডোবা-নালায় ময়লা আবর্জনায় ভরে আছে। ঢোবার পানি পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। কিন্তু এ ডোবা-নালাগুলো পরিষ্কার করে মশা-মাছি নিধনে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কোন কার্যকর উদ্যোগ নেই। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে মশার তান্ডব থেকে রক্ষায় ডোবা নালা পরিস্কারের দাবী পৌরবাসীর।
জানাগেছে, ১৯৯৮ সালে আমতলী পৌরসভা প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পৌর শহরের ডোবা-নালা ময়লা আবর্জনায় ভরে একাকার হয়ে আছে। গত ২৭ বছরে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ওই ডোবা নালা পরিস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়নি। পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় বছরের পর বছর ডোবা-নালাগুলো ময়লা আবর্জনায় ভরে আছে। ডোবার পঁচা পানি ও ময়লা আর্বজনায় পরিবেশ চরম আকার ধারন করছে।
পঁচা দুর্গন্ধে মানুষের বসবাস করতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখাগেছে, আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসের চার পাশের লেক, এমইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সামনের লেক, সবুজবাগ লেক, চাওড়া লেক, খোন্তাকাটা লেক, বকুলনেছা মহিলা কলেজ লেক, আমতলী সরকারী কলেজের লেকসহ শতাধিক ডোবা নালায় ময়লা আবর্জনায় ভরে আছে। ওই ডোবা-নালার পানি পঁচে দুর্গন্ধ পরিবেশ চরম আকার ধারণ করছে। বছরের পর বছর পরে থাকলেও এ ডোবা-নালা পরিস্কারের কোন উদ্যোগ নেই।
আমতলী পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মামুনুর রশিদ বলেন, পরিত্যাক্ত ডোবা-নালাগুলো পরিষ্কার পরিছন্ন করে মশা নিধন করা হবে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার পৌর প্রশাসক মোঃ রোকনুজ্জামান খাঁন বলেন, মশা নিধনে ইতিমধ্যে ফগার মেশিন দিয়ে ধোয়া দেয়া হয়েছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে ডোবা-নালা পরিস্কারে উদ্যোগ নেয়া হবে।