শিরোনাম
◈ কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল খুলনা, প্রেস সচিবকে ঘিরে আন্দোলনকারীদের অবস্থান ◈ বিষাক্ত কীটনাশক বন্ধে প্রয়োজনে রাস্তায় নামবো: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ◈ টাঙ্গাইল যৌনপল্লীতে অগ্নিকাণ্ড, ১২টি ঘর পুড়ে ছাই ◈ কোটালীপাড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা হরগবিন্দ বিশ্বাস গ্রেপ্তার ◈ শিগগিরই হতে পারে রোডম্যাপ ঘোষণা, প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি ◈ চট্টগ্রামে সরবরাহ বাড়লেও স্বস্তি মেলেনি সবজির বাজারে, বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম ◈ মধুপুরের জঙ্গলে গভীর রাতে ঘোড়ার মাংস প্রক্রিয়াকরণ, একজন আটক ◈ শিক্ষা কর্মকর্তার অবহেলায় সুবর্ণচরে ৫৪টি বিদ্যালয়ের বরাদ্দ ফেরত ◈  শেরপুরে ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে নবজাতক কন্যা শিশু চুরির ঘটনায় তোলপাড়  ◈ আওয়ামী লীগ ছেড়ে ইসলামী আন্দোলনে ঝিনাইদহের আলম বিশ্বাস

প্রকাশিত : ২৯ জুন, ২০২৫, ১২:৪৪ রাত
আপডেট : ২৯ জুন, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিক্ষা কর্মকর্তার অবহেলায় সুবর্ণচরে ৫৪টি বিদ্যালয়ের বরাদ্দ ফেরত

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কারের জন্য বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা সময়মতো ব্যয় না করায় তা ফেরত গেছে। সংশ্লিষ্টদের অব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়হীনতায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় সুবর্ণচরের বহু বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত ২০ এপ্রিল ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এসব বিদ্যালয়ের সংস্কারের জন্য উল্লিখিত অর্থ বরাদ্দ দেয়। বরাদ্দ বাস্তবায়নের দায়িত্ব ছিল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের ওপর। কিন্তু সময়মতো প্রাক্কলন ও টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় অর্থ ফেরত যায়।

বন্যাকবলিত স্কুলগুলোতে সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, অধিকাংশ ভবনে ফাটল, আসবাবপত্র নষ্ট, ওয়াশ ব্লক ব্যবহারের অনুপযোগী এবং মাঠ ভেঙে গেছে। এতে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পাঠ গ্রহণ করতে হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, শিক্ষা অফিসার সময়ক্ষেপণ করায় উপজেলা প্রকৌশলী টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেননি। সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পাওয়া জব্বারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে স্থানীয়রা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ জানায়।

সুবর্ণচর উপজেলা প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক জানান, প্রাথমিকভাবে প্রাক্কলন তৈরি করে প্রেরণ করলেও শিক্ষা অফিস থেকে যথাসময়ে প্রতিক্রিয়া না পাওয়ায় কাজ এগোয়নি।

তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহ আলম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নির্ধারিত নিয়ম মেনেই কাজ করা হয়েছে এবং দপ্তরের অনুমতি ছাড়া তিনি আর কিছু করতে পারেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আসফার সায়মা বলেন, "সমন্বয়হীনতার কারণে নয়, বরং জুন ক্লোজিংয়ের সময়সীমার মধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় বরাদ্দ ফেরত গেছে। তবে বিদ্যালয়গুলো সংস্কার অত্যন্ত জরুরি, তাই পুনরায় বরাদ্দের জন্য উর্ধ্বতন দপ্তরে চিঠি দেওয়া হবে।"

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়