শিরোনাম
◈ ভোলায় স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ: প্রধান আসামিসহ তিনজন গ্রেপ্তার, অভিযুক্ত নেতারা দল থেকে বহিষ্কৃত ◈ মুরাদনগরে মাদককারবারির অভিযোগে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা, একজন গুরুতর আহত ◈ গণঅভ্যুত্থান সরকারের কেউ কেউ ‘লুটপাট’ করে বেহুঁশ হওয়ার দশা: ইশরাক হোসেন ◈ যে কারণে পিআর পদ্ধতি চায় জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন ◈ ‘মেগাস্টার’ শব্দকাণ্ডে বিতর্ক: “আমি মানুষটা ছোট, অন্যকে ছোট করব কীভাবে” — জাহিদ হাসান ◈ এবার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন শিল্পকলার চারুকলা পরিচালক ◈ কেশবপুর পৌরসভার  সাবেক মেয়র রফিকুল গ্রেফতার ◈ বেনাপোল কাস্টমসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১৬ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় ◈ পার্বত্য চট্টগ্রামের একশ স্কুলে এবছরই ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার ◈ ডার্পা প্রযুক্তি : যেভাবে তারবিহীন বিদ্যুৎ আবিষ্কার করে অবাক করলো বিশ্বকে (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১১ অক্টোবর, ২০২২, ০৭:৩১ বিকাল
আপডেট : ১১ অক্টোবর, ২০২২, ০৭:৩১ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

২০২২ সালের অর্থনীতির নোবেল পুরষ্কার

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ (ফেসবুক): এ বছর আর্থিক খাতের বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য যে তিনজন অর্থনীতিবিদ নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন তাঁরা সবাই অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সঙ্গে ব্যাংকিং খাতের ব্যবস্থাপনার সম্পর্ক নিয়ে কাজ করেছেন। তিনজনের বয়সই সত্তুরের কাছাকাছি এবং এ বিষয়ে তাঁদের গবেষণার শুরু আশীর দশকের প্রথম থেকে। শুধু উন্নত দেশের জন্যই নয়, স্বল্পোন্নত দেশের ব্যাংকিং খাতের ব্যবস্থাপনার নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রেও তাঁদের গবেষণা থেকে দিকনির্দেশনা পাওয়া যেতে পারে। 

এর আগেও আর্থিক খাতের বিশ্লেষণের জন্য ১৯৯৭ সনে দুজন এবং ২০১৩ সনে তিনজন অর্থনীতিবিদকে যৌথ ভাবে নোবেল পুরষ্কার দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের সবারই গবেষণা ছিল শেয়ার বাজারের গতি-প্রকৃতি ও উত্থান-পতন নিয়ে। ওই সব বিশ্লেষণ শেয়ার বাজারের বিপর্যয় ঠেকাতে বা এ নিয়ে সঠিক পূর্বাভাষ দিতে খুব কাজে দেয় নি বলে মনে করা হয়। কারণ শেয়ার বাজারের কেনা-বেচার ধরণ শুধু অর্থনীতির যৌক্তিক আচরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না, যে কারণে স্নায়ু-অর্থনীতি বা neuro-economics নামে নতুন ধারার অর্থনীতি নিয়ে এখন গবেষণা হচ্ছে। 

কিন্তু এবারের নোবেল বিজয়ীদের কাজ আর্থিক খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংকের ভূমিকা নিয়ে এবং তাঁদের বিশ্লেষণ অনেক বেশী বাস্তবমুখী, যা ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার সম্ভাব্য ধ্বস ঠেকাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। তাঁরা যে বিষয়গুলো নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন তার মধ্যে আছে ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার প্রতি আমানতকারীদের আস্থার সঙ্কট, ঋণ মঞ্জুর করার ব্যাপারে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার গুরুত্ব, ব্যাঙ্কের তারল্য ও মূলধন ঘাতটির বিষয়ে সতর্কতা, সঙ্কটাপর্ণ ব্যাঙ্ককে বাঁচিয়ে রাখতে আমানতের উপর যথেষ্ট অঙ্কের বীমার ব্যবস্থা, এবং যথা সময়ে সতর্ক না হবার খেসারত হিসাবে পরবর্তীতে দেউলিয়া ব্যাঙ্ককে বাঁচাতে সরকারের বড় অঙ্কের ব্যায়ের বোঝা বহন। 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ব্যাঙ্ক খাতের জন্য এই সবগুলো বিষয়েই সতর্কতা জরুরী। যতদূর মনে পড়ে আমাদের ব্যাঙ্কগুলোতে গচ্ছিত আমানতপ্রতি মাত্র এক লক্ষ টাকা বীমাকৃত। ইতিমধ্যে ব্যাঙ্কের দেউলিয়া হওয়া থেকে উদ্ধার করার ঘটনা দেখা গেছে, অনেক ব্যাঙ্কের ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার দক্ষতার ঘাটতি নিয়েও অনেক আলোচনা হয়েছে ও হচ্ছে, কিন্তু অবস্থার খুব উন্নতি হচ্ছে বলা যাবে ন। ব্যাঙ্কে টাকা আমানত রাখার তেমন কোন বিকল্প নাই বলে ব্যাংক খাতের সমস্যা সহজে দৃষ্টিগোচর হয় না; কিন্তু যখন কোন বিপর্যয় ঘটে তখন তার জন্য পুরো অর্থনীতিকে অনেক মূল্য দিতে হয়। এবারের নোবেল পুরষ্কার অনেক দেশের ব্যাঙ্ক ব্যবস্থাপনার জন্য হুঁশিয়ারি বার্তা বহন করে এনেছে।

ডব্লিউএম/এইচএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়