শিরোনাম
◈ ফলকার টুর্ককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করল ভেনেজুয়েলার পার্লামেন্ট ◈ ভোলায় স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ: প্রধান আসামিসহ তিনজন গ্রেপ্তার, অভিযুক্ত নেতারা দল থেকে বহিষ্কৃত ◈ মুরাদনগরে মাদককারবারির অভিযোগে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা, একজন গুরুতর আহত ◈ গণঅভ্যুত্থান সরকারের কেউ কেউ ‘লুটপাট’ করে বেহুঁশ হওয়ার দশা: ইশরাক হোসেন ◈ যে কারণে পিআর পদ্ধতি চায় জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন ◈ ‘মেগাস্টার’ শব্দকাণ্ডে বিতর্ক: “আমি মানুষটা ছোট, অন্যকে ছোট করব কীভাবে” — জাহিদ হাসান ◈ এবার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন শিল্পকলার চারুকলা পরিচালক ◈ কেশবপুর পৌরসভার  সাবেক মেয়র রফিকুল গ্রেফতার ◈ বেনাপোল কাস্টমসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১৬ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় ◈ পার্বত্য চট্টগ্রামের একশ স্কুলে এবছরই ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৫:০২ সকাল
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৫:০২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

টগবগে যৌবনে আড্ডাবাজি 

আনোয়ার হক: টগবগে যৌবনকালে শান্তিনগর মোড়ের কাছে একটা জমজমাট আড্ডার জায়গা ছিল আমাদের। বৃহৎ আয়তনের খুব সাধারণ মানের একটি রেস্টুরেন্ট। কয়েক দিন ধরে অনেক চেষ্টা করেও রেস্টুরেন্টটির নাম মনে করতে পারলাম না। 

আড্ডাবাজ সঙ্গীদের কেউ এখন জাতীয় পতাকাবাহী গাড়ি হাকিয়ে চলেন, কেউ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে বেড়ান, কেউ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সফল শিক্ষক, কেউ উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রধান, কেউ হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্টের নেতৃস্থানীয় উকিল, কেউবা আবার আমলা, আমিই কেবল কামলা। স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারও আছেন একাধিক। 

আড্ডার প্রধান অনুসঙ্গ ছিল মূলতঃ চা আর সিগারেটের সাথে রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা ব্যবস্থা, বিশ্ব পরিস্থিতি, আবহাওয়া, জলবায়ু, সাহিত্য, সংস্কৃতি, প্রকৃতি ও জীবন এবং নাটক সিনেমার খুটিনাটি; কদাচিৎ চা এর বদলে পেপসি, সেভেন আপ, মিরিন্ডার মত শীতল পানীয়ও সংগী হতো কারো কোন বিশেষ উপলক্ষ থাকলে। আর পছন্দের খাদ্য তালিকায় ছিল পুরি। পুরির সাথে ফ্রি পাওয়া যেতো ছোট বাটিতে মাংসের ঝোল। আমার মনে হতো ওগুলো আসলে দুপুরে ভাতের সাথে পরিবেশিত মাংসের উদ্বৃত্ত ঝোল। গরম করে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুরির সাথে ফ্রি দেয়া হতো। তখন এতো মিডিয়াও যেমন ছিলনা তেমনি স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ে তেমন প্রচার প্রোপাগান্ডাও ছিল না। তাই ভোজন রসিকরা দেদারসে মাগনা পাওয়া ঝোল লাগিয়ে পুরি খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতেন। আমার কেন জানিনা ফ্রি খাদ্যানুসংগটা আকর্ষণ করতে পারতো না। আমি বরং ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে গরম পুরি চুবান দিয়ে কামড় দিতেই মজা পেতাম। 

আমরা কখনো ঐ রেস্টুরেন্টটিতে ভারী খাবার খেয়েছি বলে মনে পড়ে না। ভারী খাবার মানে ভাত, খিচুড়ি, পোলাও, বিরিয়ানি ইত্যাদি। তবে কেউ বিশেষ কোন উপলক্ষে খাওয়াতে চাইলে কাবাব আর নানই পছন্দ করতাম আমরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়