শিরোনাম
◈ ইসরায়েল খেললে বিশ্বকাপ ফুটবল বয়কট কর‌বে স্পেন ◈ এ‌শিয়া কা‌পে রা‌তে শ্রীলঙ্কা - আফগা‌নিস্তান মু‌খোমু‌খি, লঙ্কান‌দের জয় দেখার অ‌পেক্ষায় বাংলাদেশ  ◈ আওয়মী লীগ বিহীন বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে দিল্লিতে এখন যে সব চিন্তাভাবনা  ◈ চ‌্যা‌ম্পিয়ন্স লিগ, চেলসিকে হা‌রি‌য়ে বায়ার্ন মিউ‌নি‌খের শুভ সূচনা ◈ কিশোরগঞ্জ সম্মেলনে যাওয়ার জন্য স্থগিতাদেশ উঠিয়ে দিন, না হলে ভিন্ন পথ নেবো, জানালেন ফজলুর রহমান ◈ দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে নতুন অস্থিরতা ◈ হ‌্যান্ড‌শেক না করায় অপরাধ হিসা‌বে ভারতের ম‌্যাচ ফি ৫০ ভাগ একং ২‌টি ডি‌মে‌রিট প‌য়েন্ট জ‌রিমানা হ‌তে পা‌রে ◈ এআই, কোয়ান্টাম ও নিউক্লিয়ার এনার্জিতে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বড় চুক্তি ◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

প্রকাশিত : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:২২ রাত
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:২২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

লৈঙ্গিক পরিচয় সানজিদা-কৃষ্ণাদের সম্ভাবনাকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি

সাবিনা শারমিন

সাবিনা শারমিন: কোনো খেলা কারো বাপ-দাদার দান করা সম্পত্তি নয়। নারী সাফ ফুটবলে বাংলাদেশ দল অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় অনেকেই বিজয়ী নারীদের বাঘিনী বলতে চাচ্ছেন। আমি বলতে চাচ্ছি, বাঘ কি সকল সময়ে মঙ্গলের প্রতীক?

শক্তির প্রতীক বোঝানোর জন্য অন্য কোন প্রাণীর সাথে তুলনা করে শক্তি প্রমাণ করার কী  দরকার আছে? আমি বলবো এরা বাংলার দামাল, দস্যু, দুরন্ত মেয়ে। এরা ফুলের বিছানায় জন্মগ্রহণ করে বাবা কিংবা সোয়ামীর দান নেয়নি। এরা কাচের টুকরো বিছানো রাস্তায় হেঁটে রক্তাক্ত হয়েও ক্ষান্ত  হয়নি, থেমে যায়নি। মেয়ে হয়ে জন্মগ্রহণ করে এরা হীনমন্যতায় ভোগেনি। লৈঙ্গিক পরিচয় তাদের সম্ভাবনাকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি। তাই তারা স্রোতের বিপরীতে নাও ভাসানো লোক, নারী, সর্বোপরি মানুষ।

প্রশংসায় ভাসাতে হলে তাদের ডেকে এনে এদের চলার পথের বাঁধা অতিক্রমের গল্প শুনুন। এদের প্রত্যকের মা'কে সামনে নিয়ে আসুন। এদের বাবাকে সামনে নিয়ে আসুন। সামনে নিয়ে আসুন এদের মেন্টরকে, এদের কোচকে। সামনে নিয়ে আসুন এদের এলাকার মুয়াজ্জিন ইমামকে। যারা এই দামাল মেয়েগুলোকে বাল্য বিবাহ দেয়নি। সেই মসজিদের ইমামকে নিয়ে এসে জিজ্ঞেস করুন পাঁচ বছরের শিশু কন্যা সুমাইয়ার মতো একটি ফুলকে ধর্ষণ করতে না পেরে হত্যা করেছিলো। তাদের ডেকে এনে জিজ্ঞেস করুন এই দস্যি মেয়েদের দুরন্ত গতি দেখলে তাদের কামভাব জেগে ওঠে কিনা? যাহোক,এসব অনেক কথাই বলা যায়। ওরা প্রমাণ করেছে কোন খেলা কারো বাপ দাদার কেনা সম্পত্তি নয়। নিজের যোগ্যতায় কঠোর পরিশ্রম এবং সাধনা করেই এই সাফল্য ও সম্মান তারা অর্জন করেছে। 

অভিনন্দন বাঙলার দামাল দস্যু মেয়েরা। তোমরা নির্মাণে তোমাদের নাম লেখাও। ভোগে নয়। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়