জাফর ওয়াজেদ: ‘এই খেদ মোর মনে, ভালোবেসে মিটল না আশ কুলাল না এ জীবনে। হায়! জীবন এতো ছোট কেনে এ ভুবনে?’Ñতারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা ভাষার একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক ও গল্পলেখক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।
বাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সামগ্রিক সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে ৬৫টি উপন্যাস, ৫৩টি গল্পগ্রন্থ, ১২টি নাটক, ৪টি প্রবন্ধের বই, ৪টি আত্মজীবনী এবং ২টি ভ্রমণ কাহিনী। তারাশঙ্করের উপন্যাস, গল্প ও নাটক নিয়ে চল্লিশটিরও বেশি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। ১৯৫৫ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ লাভ করেন। ১৯৫৬ সালে ‘সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার’ পান। ১৯৬২ সালে তারাশঙ্কর ভারত সরকারের পদ্মশ্রী ও ১৯৬৮ সালে পদ্মভূষণ উপাধিতে ভূষিত হন। হাঁসুলি বাঁকের উপকথা, কবি, গণদেবতা, পঞ্চগ্রাম প্রভৃতি তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস।
১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে মৃত্যুÑ তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক। তাঁর সামগ্রিক সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে ৬৫টি উপন্যাস, ৫৩টি গল্পগ্রন্থ, ১২টি নাটক, ৪টি প্রবন্ধের বই, ৪টি আত্মজীবনী এবং ২টি ভ্রমণ কাহিনী। তারাশঙ্করের উপন্যাস, গল্প ও নাটক নিয়ে চল্লিশটিরও বেশি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। ১৯৫৫ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ লাভ করেন। ১৯৫৬ সালে ‘সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার’ পান। ১৯৬২ সালে তারাশঙ্কর ভারত সরকারের পদ্মশ্রী ও ১৯৬৮ সালে পদ্মভূষণ উপাধিতে ভূষিত হন।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় (আগস্ট ২৩, ১৮৯৮ - সেপ্টেম্বর ১৪, ১৯৭১) বিংশ শতাব্দীর একজন বিশিষ্ট বাঙালি সাহিত্যিক ছিলেন। তিনি ৬৫টি উপন্যাস, ৫৩টি গল্পের বই, ১২টি নাটক, ৪টি প্রবন্ধের বই, ৪টি আত্মজীবনী এবং ২টি ভ্রমণ কাহিনি লিখেছেন। এই বিশিষ্ট জ্ঞানী মানুষটি রবীন্দ্র পুরস্কার, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার, জ্ঞানপীঠ পুরস্কার এবং পদ্মভূষণ পুরস্কারে পুরস্কৃত হন। তারাশঙ্কর কংগ্রেসের কর্মী হয়ে সমাজসেবামূলক কাজ করেন এবং এর জন্য তিনি কিছুদিন জেল খাটেন। একবার তিনি ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্টও হয়েছিলেন। তাঁর লেখায় বিশেষ ভাবে পাওয়া যায় বীরভূম-বর্ধমান অঞ্চলের সাঁওতাল, বাগদি, বোষ্টম, বাউরি, ডোম, গ্রাম্য কবিয়াল সম্প্রদায়ের কথা। ছোট বা বড় যে ধরনের মানুষই হোক না কেন, তারাশঙ্কর তাঁর সব লেখায় মানুষের মহত্ত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন, যা তাঁর লেখার সবচেয়ে বড় গুন। সামাজিক পরিবর্তনের বিভিন্ন চিত্র তাঁর অনেক গল্প ও উপন্যাসের বিষয়। সেখানে আরও আছে গ্রাম জীবনের ভাঙনের কথা, নগর জীবনের বিকাশের কথা। বঙ্গবন্ধুর বুকসেল্ফে তারাশংকরের সইকরা বই দেখেছি। লেখক: মহাপরিচালক, পিআইবি