শিরোনাম
◈ বিদেশ পালানোর চেষ্টায় থাকা সাবেক এমপি সরওয়ার জাহান গ্রেপ্তার ◈ তেল আমদানি এখনো পুরনো দামে, যুদ্ধ দীর্ঘ হলে পরিস্থিতি পুনর্বিবেচনা হবে: সালেহউদ্দিন আহমেদ ◈ ট্রাম্পের আকস্মিক জি-সেভেন সম্মেলন ত্যাগ: ইরান-ইসরায়েল নয়, আরও বড় কিছু ঘটছে? ◈ জুলাই মাসের মধ্যে `জাতীয় সনদ' তৈরি করতে পারবো: আলী রীয়াজ ◈ ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ বয়কট করল জামায়াতে ইসলামী ◈ নেতানিয়াহুর ঔদ্ধত্যে ইসরায়েলের সামরিক অহংকার চূর্ণ, ইতিহাসে ফিরছেন আহমদ চালাবির ছায়া:হামিদ মীর ◈ ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জি-৭ নেতাদের বিবৃতি: ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান, ইরানকে ‘সন্ত্রাসের উৎস’ আখ্যা ◈ ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাল ২১ মুসলিম দেশ ◈ ভয়াবহ যুদ্ধের ই‌ঙ্গিত দি‌য়ে  ইরা‌নের রাজধানী তেহরানের বাসিন্দাদের শহর ছাড়তে বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ◈ ইসরায়েল ইরানে পরমাণু বোমা ফেললেই, পাকিস্তান পরমাণু হামলা চালাবে নেতানিয়াহুর দেশে, এবার কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ?

প্রকাশিত : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০২:৪৯ রাত
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০২:৪৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সোভিয়েত জনগণ গ্লাসনস্ত-পিরিস্ত্রোইকার বদৌলতে স্বাধীনতা পেয়ে কী কাজে লাগিয়েছিল?

মশিউল আলম

মশিউল আলম: আমার যেসব বন্ধু-কমরেড গ্লাসনোস্ত-পিরিস্ত্রোইকার শুরুতে উৎসাহে আলোর দিকে চেয়ে গর্বাচভের মহিমাকীর্তন করতেন আর স্বপ্ন দেখতেন যে সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার স্থবির দশা এবার কেটে যাবে, নবীণ প্রাণ সঞ্চারিত হবে আপারাৎচিক-পীড়িত মরচেপড়া পার্টির দেহমনে, তাঁরা সদ্যপ্রয়াত গর্বাচভের প্রতি যে ভাষায় ঘৃণা প্রকাশ করছেন তা দেখেশুনে ভেবে পাচ্ছি না, এই বন্ধু-কমরেডরা কি অন্ধ ছিলেন? তাঁরা কি চোখের সামনেই দেখতে পাননি, সোভিয়েত জনগণ গ্লাসনস্ত-পিরিস্ত্রোইকার বদৌলতে স্বাধীনতা পেয়ে সেই স্বাধীনতা কী কাজে লাগিয়েছিল? কেমন করে ইয়েলৎসিনের মতো একজন অ্যালকোহলিক রুশ জনগণের নয়নের মণি হয়ে উঠেছিল, যে ইয়েলৎসিন বলে চলছিল যে পিরিস্ত্রোইকা দিয়ে হবে না, পুঁজিতান্ত্রিক বিপ্লব আনতে হবে? আর জনগণ কী বোকার মতো অধৈর্য্য হয়ে উঠেছিল: এত ধীরে কেন? রাতারাতি মস্কোকে প্যারিস বানিয়ে দাও। জিন্স-ম্যাকডোনাল্ডস ইত্যাদি হাজার রকমের ভোগ্যপণে আজই আমাদের ভাসিয়ে দাও।  নইলে কীসের পিরিস্ত্রোইকা? নইলে কীসের দেমোক্রাতিয়া?

যে রাজনৈতিক-প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ক্রেমলিনের কয়েকটা হলঘর আর করিডোরে কতকগুলো নীতিহীন ও জনবিচ্ছিন্ন লোক সোভিয়েত ইউনিয়নের ২৮ কোটি মানুষের জীবনের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করত, গর্বাচভ সেই ব্যবস্থাটাকে একটুখানি গণতান্ত্রিক, দায়িত্বশীল ও ভদ্রসদ্র করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু তাঁর জানা ছিল না যে সোভিয়েত ইউনিয়নের জনগণ গণতন্ত্র পেয়ে খোদ সোভিয়েত রাষ্ট্রটাকেই ভেঙে টুকরো টুকরো করে ফেলতে চাইবে। বিশেষত রাশিয়ার জনগণ ইয়েলৎসিনের নেতৃত্বে ভাঙনের কাজটা অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাবে, যেখানে গর্বাচভ অচিরেই ক্ষমতাহীন, ‘মুকুটহীন সম্রাটে’ পর্যবসিত হবেন।

সোভিয়েত ব্যবস্থার সামগ্রিক স্থবিরতা, দুর্বলতা ও আত্মপ্রতারণা কাটানোর আকাক্সক্ষায় গর্বাচভ জনসাধারণের শুভবুদ্ধি ও দায়িত্বশীলতার ওপর ভরসা করে যে বাঁধভাঙার কাজে হাত লাগিয়েছিলেন, সেই বাঁধের উজানে এত প্রবল শক্তি পুঞ্জিভূত হয়ে উঠেছিল যে তিনি নিজেই সেই বাঁধভাঙা স্রোতের তোড়ে ভেসে গেছেন। সেজন্য তাঁকে ব্যর্থতার দায় অবশ্যই দেওয়া যায়, কিন্তু আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানো সুবিবেচনার কাজ হয় না। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়