শিরোনাম
◈ ফলকার টুর্ককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করল ভেনেজুয়েলার পার্লামেন্ট ◈ ভোলায় স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ: প্রধান আসামিসহ তিনজন গ্রেপ্তার, অভিযুক্ত নেতারা দল থেকে বহিষ্কৃত ◈ মুরাদনগরে মাদককারবারির অভিযোগে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা, একজন গুরুতর আহত ◈ গণঅভ্যুত্থান সরকারের কেউ কেউ ‘লুটপাট’ করে বেহুঁশ হওয়ার দশা: ইশরাক হোসেন ◈ যে কারণে পিআর পদ্ধতি চায় জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন ◈ ‘মেগাস্টার’ শব্দকাণ্ডে বিতর্ক: “আমি মানুষটা ছোট, অন্যকে ছোট করব কীভাবে” — জাহিদ হাসান ◈ এবার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন শিল্পকলার চারুকলা পরিচালক ◈ কেশবপুর পৌরসভার  সাবেক মেয়র রফিকুল গ্রেফতার ◈ বেনাপোল কাস্টমসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১৬ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় ◈ পার্বত্য চট্টগ্রামের একশ স্কুলে এবছরই ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশিত : ১১ জুন, ২০২৪, ১২:১২ রাত
আপডেট : ১১ জুন, ২০২৪, ১২:১২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমাদেরও উচিত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া নেতিবাচক বিষয়বস্তুর বিরুদ্ধে আওয়াজ ওঠানো 

আনিস আলমগীর

আনিস আলমগীর: রাফসান দ্য ছোটভাইয়ের একটা প্রাঙ্ক ভিডিও দেখছিলাম দুই মাস আগে। রাফসানের ভাষায়, বাইক ডাকাতি। মোহাম্মদপুরের এক ফেসবুক ক্রিয়েটরের মোটরসাইকেল চুরি করার সাজানো নাটক করে তারা। পরিশেষে তাকে একটি দামি মোটরসাইকেল গিফট করে রাফসান এবং জানায় যে সেটি তাকে বিয়ে উপলক্ষে উপহার দিয়েছে সে। মূলত উপহার দেওয়া নিয়ে এই রঙ্গ নাটক। যাকে নিয়ে তামাশা বা প্রাঙ্ক করছিল সেই তরুণকে আমি কোনোদিন দেখিনি এর আগে। কোনো কারণে তাকে এতো দামি উপহার দিতে হবে, সেটাও আমার মাথায় আসেনি। যাইহোক এগুলো তাদের দ্বিপাক্ষিক ব্যাপার-স্যাপার। আমি খেয়াল করলাম, ছেলেটি যখনই তার গাড়ি চুরি হয়েছে দেখলো আইনের আশ্রয় নেওয়ার কোনো প্রয়োজন মনে করল না। উদ্যোগ দিল না। একপর্যায়ে অস্ত্র আর তার এলাকার কিছু সাঙ্গাত নিয়ে বের হলো সে বাইক উদ্ধার করতে, কারণ তাকে ফোন করে বলা হয়েছে, কোনো একটা ছেলে মোহাম্মদপুরে সেই বাইক চালাচ্ছে।

আর. এস. ফাহিম নামের এই তরুণের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, মুখের ভাষা পুরোটাই একটা পাতি মাস্তানের। আর এ ধরনের ভিডিও এবং এ ধরনের মাস্তানি দেখে তরুণেরা কী শিখছে। একে আবার প্রমোট করছে রাফসানের মতো জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর, যার ভিডিও আমি নিজেও নিউজফিডে আসলে দেখি। এটা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন হলাম। কারণ এই রাফসানকে আমাদের অনেকের সন্তানরাও ফলো করছে। তাছাড়া এসব অপরাধমূলক কাজকে মজার প্রাঙ্ক হিসেবে চালিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে বেপরোয়া আচরণ তরুণদের মনে ভুল ধারণা তৈরি করতে পারে। রাফসানের বিপুল সংখ্যক ভক্ত রয়েছে, যাদের উপর তার ভিডিওর প্রভাব অনেক বেশি। সেই কারণে আমি কমেন্ট করে রাফসানকে এই সমস্ত ফালতু ভিডিও প্রমোট করতে নিষেধ করেছি (সরাসরি নয়, কারণ আমি জানি এগুলো যে ফালতু ভিডিও সেটা বুঝার ক্ষমতাও অনেক তরুণের এখনো হয়নি। তারা দুঃখ পাবে এবং না বুঝে আমাকে পাল্টা আক্রমণ করবে)। প্রচুর লোক আমাকে সমর্থন করলো, কিন্তু এই ফাহিমের পক্ষে দুই একটা চ্যালা আবার আমাকে জ্ঞান দিলো। ভাই আপনি তাকে চেনেন না সোশ্যাল মিডিয়ার বিরাট কুতুব সে। তিনি তার বাইকটি খুব ভালোবাসেন, সেই কারণে এমন আচরণ করেছেন। 
আমি ফাহিমের ওয়ালে গিয়ে কয়েকটি ভিডিও দেখলাম। এই ছেলে এখানে সেখানে গাড়ি এবং বাইক নিয়ে যায়, তার পাতি মাস্তানদের নিয়ে দলবেঁধে অর্থহীন ঘুরে বেড়ায়। মাস্তি করে। এগুলো ভ্রমণ বিষয়ক কোনো ভিডিও নয়, জাস্ট ফুটানি। তরুণদের জন্য কোনো মেসেজ নেই, বরং নষ্ট হওয়ার প্রলোভন আছে। খুব সম্প্রতি দেখলাম এই ফাহিমের ভিডিও করতে গিয়ে ছাদখোলা গাড়িতে বেপরোয়া অবস্থায় মাথায় আঘাত লেগে তার টিমের এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। ফাহিম এখন তাকে নিয়ে কান্না করছে। এই কান্না সত্যিকারের হলেও অনেকের কাছে মনে হবে মায়া কান্না। উন্নত কোনো দেশে হলে এ ধরনের অসতর্কতার জন্য ফাহিমের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতো। পরিশেষে বলবো, অর্থহীন ঘোরাঘুরি ও মাস্তানিপনার প্রদর্শন কোনো ইতিবাচক ভিডিও হতে পারে না। রাফসান ও ফাহিমের মতো জনপ্রিয় ব্যক্তিদের উচিত তাদের ভিডিওর মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। আমাদেরও উচিত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া নেতিবাচক বিষয়বস্তুর বিরুদ্ধে আওয়াজ ওঠানো, তরুণদের সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া। লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়