শিরোনাম
◈ গরুর চামড়া ৮০০, ছাগলের ১০ টাকা ◈ সিলেটে ঈদ আনন্দ ভেসে গেল বন্যার জলে ◈ অর্থনৈতিক সংকটে সিংহভাগ মানুষ কোরবানি দিতে পারেনি: জিএম কাদের ◈ সুপার এইটে স্থান, ক্রিকেট দলকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন ◈ ফিলিস্তিনসহ সুবিধা বঞ্চিতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির ◈ শাসকগোষ্ঠী উল্লাসের ঈদ করছে আর বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসায় চলছে শোকের মাতম: রিজভী  ◈ কারাগারে গরু ও খাসি কোরবানি, বন্দিদের বিশেষ বিনোদনের ব্যবস্থা ◈ দেশবাসীকে ভয়ভীতি কোরবানি দেওয়ার আহ্বান মির্জা আব্বাসের ◈ এবারের ঈদ দেশের মানুষের কাছে একটা কষ্টের দিন: মির্জা ফখরুল ◈ ঈদুল আজহা উপলক্ষে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত : ২৭ মে, ২০২৪, ০৩:৪৮ রাত
আপডেট : ২৭ মে, ২০২৪, ০৩:৪৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেশের লাখো তরুণের সঙ্গে প্রতারণা করার দায়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসচক্রের সবার কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত 

শরিফুল হাসান

শরিফুল হাসান: এই দেশের লাখো তরুণ যেখানে একটা চাকরির জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে লড়াই করছে সেখানে আরেকদল প্রশ্ন কিনে, ডিজিটাল ডিভাইস দিয়ে উত্তরপত্র পেয়ে কিংবা নানা অনিয়মে নিয়োগ পাচ্ছে। দিনের পর দিন এ নিয়ে সাংবাদিকতা ও লেখালেখির অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, প্রতিটা প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা নিয়োগে অনিয়মের সঙ্গে প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী কর্তৃপক্ষের কোনো না কোনো যোগসাজশ থাকে। কিন্তু প্রতিবারই এরা পার পেয়ে যায়। এর সর্বশেষ প্রমাণ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) ঘটনা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বিআইবিএমের নিয়োগ পরীক্ষা কমিটি-২ এর সমন্বয়ক অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন ছিদ্দিক। সেখানে বিআইবিএমের সহকারী প্রোগ্রামার ও সংস্থার মহাপরিচালকের স্টাফ অফিসাররের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ভয়াবহ সব অভিযোগ উেেঠছে। আমি সবসময় বলি বড় কর্মকর্তারা দুর্নীতিতে না জড়ালে কখনো ছোট কর্মকর্তারা দুর্নীতিতে জড়াতে পারেন না। 

বিআইবিএমের ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০২১ সালভিত্তিক সিনিয়র অফিসারসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। হরতাল অবরোধের মধ্যে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। এ যেন লাখ লাখ ছেলেমেয়ের সঙ্গে প্রতারণা। আফসোস এক দশক আগে থেকে এসব অভিযোগ উঠলেও এই চক্রের বিরুদ্ধে কখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমি সবসময় বলি একটা রাষ্ট্র ধ্বংস করতে তার শিক্ষা ব্যবস্থা আর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংসই যথেষ্ট। বাংলাদেশের শত্রুরা এই দুই কাজে সফল। সর্বশেষ প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে যে পরিমাণ অনিয়মের কথা শুনেছি তাতে শঙ্কা জাগে ভবিষ্যৎ নিয়ে। জাতির এসব শত্রুদের বিচার চাই। আরেকটা কথা, কোনো একজন কর্মচারী বা ছোট কর্মকর্তার এককভাবে বড় দুর্নীতির সুযোগ নেই। এসবের সঙ্গে অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যোগসূত্রতা থাকে। কাজেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। 

আফসোস এই বাংলাদেশে বড় দুর্নীতিবাজ বড় লুটেরাদের বিরুদ্ধে কখনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। ফলে কষ্ট পায় সাধারণ মানুষ। তারপরেও আমি বিআইবিএমের যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, যারা দায় এড়িয়েছেন, যারা রেগুলেটরি অথিরিটি তাদের সবার জবাবদিহিতা চাই। তারা কেউই এই দায় এড়াতে পারেন না। বরং দেশের লাখো তরুণের সঙ্গে প্রতারণা করার দায়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসচক্রের সবার কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত। লেখক: কলামিস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়