শিরোনাম
◈ সিলেটে ঈদ আনন্দ ভাসছে বন্যার জলে ◈ সিলেটে ঈদ আনন্দ ভেসে গেল বন্যার জলে ◈ অর্থনৈতিক সংকটে সিংহভাগ মানুষ কোরবানি দিতে পারেনি: জিএম কাদের ◈ সুপার এইটে স্থান, ক্রিকেট দলকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন ◈ ফিলিস্তিনসহ সুবিধা বঞ্চিতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির ◈ শাসকগোষ্ঠী উল্লাসের ঈদ করছে আর বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসায় চলছে শোকের মাতম: রিজভী  ◈ কারাগারে গরু ও খাসি কোরবানি, বন্দিদের বিশেষ বিনোদনের ব্যবস্থা ◈ দেশবাসীকে ভয়ভীতি কোরবানি দেওয়ার আহ্বান মির্জা আব্বাসের ◈ এবারের ঈদ দেশের মানুষের কাছে একটা কষ্টের দিন: মির্জা ফখরুল ◈ ঈদুল আজহা উপলক্ষে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত : ২৭ মে, ২০২৪, ০৩:১৪ রাত
আপডেট : ২৭ মে, ২০২৪, ০৩:১৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সিরিজের শেষ ম্যাচে একমাত্র জয়ের কী গুরুত্ব হতে পার? 

নাজমুল আবেদীন ফাহিম

নাজমুল আবেদীন ফাহিম: ইউএসএ’র বিরুদ্ধে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে এই একমাত্র জয়ের কী গুরুত্ব হতে পার? বিশেষ করে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে? বাংলাদেশ দলের সমস্যা দুটি। প্রথমত, আত্মবিশ্বাসের তীব্র অভাব, সেটি দলীয় এবং ব্যক্তিগত দুদিকেই, এবং দ্বিতীয়ত টপ অর্ডারের ব্যর্থতা। এই বিশাল জয় দলকে নিশ্চয়ই কিছুটা আত্মবিশ্বাস জোগাবে। তবে আত্মবিশ্বাসের পারদটা যে জায়গায় থাকার কথা কেবলমাত্র একটি জয় হয়তো সেজন্য যথেষ্ট নয়। তাছাড়া উদ্বোধনী  ব্যাটসম্যানদের এই চমৎকার পারফরমেন্স অন্যান্য অফ ফর্ম ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কতটা সংক্রামিত হয় সেটিও দেখার বিষয়। তবে পরবর্তী প্রস্তুতি ম্যাচের আগ পর্যন্ত দলকে চাঙ্গা  রাখার জন্য এই বড় ব্যবধানের জয়টি অত্যন্ত জরুরি ছিল। আশা করা যায় সবাই ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে আগামী ২৮ মে অনুষ্ঠিতব্য প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে। এখন অবশ্য মনে হচ্ছে মূল পর্বে যাওয়ার আগে ইউএস’র সাথে আরও একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারটি খুব একটা খারাপ হয়নি। তাদের সাথে আমরা যদি আবার ভালো ব্যবধানে জয়ী হতে পারি, তাহলে সেটি হয়তো কিছুটা ইমেজ পুনরুদ্ধারে এবং পাশাপাশি দলের পূর্ণ আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।

ছোট টার্গেট চেজ করতে গিয়ে আমরা ধীর গতিতে খেলিনি, এ ব্যাপারটি ভালো লেগেছে। তানজিদ তামিমের মধ্যে কোনো ধরনের জড়তা না থাকা অত্যন্ত ভালো লক্ষণ। শুরুতে সৌম্যের মধ্যে কিছুটা জড়তা থাকলেও পরের দিকে যথেষ্ট ফ্লুয়েন্ট মনে হয়েছে। তবে আমাদের ওপেনিংয়ের সমস্যার সমাধান হয়ে গেলো সেটি বলার সময় বোধহয় এখনো আসেনি। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের অন্তত একটিতে আবারও তাদের বড় একটি জুটি গড়তে হবে। তাহলেই হয়তো বাংলাদেশ যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস নিয়ে মূল পর্ব শুরু করতে পারবে। প্রথম ম্যাচে শেষের দিকে কিছুটা ঘাটতি থাকলেও ওভারঅল আমরা প্রায় সব ম্যাচই ভালো বোলিং করেছি।

সিরিজের শেষ ম্যাচে মুস্তাফিজ এবং রিশাদ দু’জনই ছিল আউটস্ট্যান্ডিং। পুরো সিরিজজুড়েই সবচাইতে নিয়ন্ত্রিত বল করেছে রিশাদ। একথা আমি ওর ইকোনোমি বা উইকেট সংখ্যা দেখে বলছি না। আরও একটু অভিজ্ঞতা ওকে হয়তো পৃথিবীর সেরা বোলারদের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেবে। আশা করছি মূল পর্বেও ওকে ম্যাচ উইনিং বোলার হিসেবেই দেখবো। মাহমুদউল্লাহও দুই ওভার বল করেছে এবং ভালো বল করেছে। দলে ওর এই ভূমিকাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দলে মাত্র পাঁচজন স্পেশায়ালিস্ট বোলার থাকায় ক্যাপ্টেনের জন্য এই অপশন থাকা অত্যন্ত জরুরি ছিল। 

সব শেষে, আশা করব খেলোয়াড়েরা সমালোচনা এবং প্রশংসা দুটিই বিনয়ের সাথে এবং একই স্পিরিটে গ্রহণ করবে। এটিও কিন্তু খেলারই একটি অংশ। ক্রিকেট ফ্যান এবং মিডিয়া দলের পাশে থাকলে তা দলকে কতটা উজ্জীবিত করতে পারে, অনুপ্রাণিত করতে পারে, সেটি আমরা সবাই অনুধাবন করতে পারি। বাংলাদেশ দলেরও জানা উচিত পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন দিন শেষে আমরা সবাই দলের পাশেই থাকি। লেখক: ক্রিকেট উপদেষ্টা, বিকেএসপি। ২৬-৫-২৪। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়