কবির য়াহমদ: মৃত্যুতে মানুষকে মহান করার একটা প্রবণতা আছে আমাদের। স্বৈরশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর আমরা দেখেছিলাম সংসদে। আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের যে মায়াকান্না আমরা দেখেছিলাম, তাতে লজ্জিত হয়েছিলাম। যুদ্ধাপরাপী দেলাওয়ার হুসেইন সাঈদী, যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম, নিজামী, মুজাহিদ, সাকা চৌধুরীসহ এমন অনেকের ক্ষেত্রেও আমরা দেখেছি তাদের অনুসারীদের মাধ্যমে। ঘৃণ্যদের প্রতি তাদের অনুরাগে লজ্জিত হয়েছি। অদ্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তার যে জীবন-ইতিহাস তাতে দেখছি এক সময় আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের ওয়ারেন্টভুক্ত ছিলেন আনোয়ারুল আজিম আনার। হুন্ডি কারবার, চোরাচালান ও পাচারের অভিযোগে ইন্টারপোল তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেছিল। মৃত্যুতে তিনিও মহান হয়ে ওঠবেন নিশ্চয়! যেকোনো মৃত্যু আমাদের ব্যথিত করে। এই মৃত্যুও ব্যথিত করছে। বিশেষ করে তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা। তবে তিনি মহান ছিলেন না। তাকে মহান বানানোর চেষ্টা করেও মহান বানানো যাবে বলে মনে হয় না। ছোটখাটো ভুল অতীতকে টেনে আনার মতো হয় না, তবে ভুল আর অপরাধ আলাদা বিষয়; আর অপরাধ কখনো তামাদি হয় না। রুটিন শোকপ্রকাশ দোষের নয়। প্রকাশ করুন, করতেই থাকুন। আমিও করছি...। লেখক: সাংবাদিক
আপনার মতামত লিখুন :