শিরোনাম
◈ বেনাপোল বন্দরে আর্মড পুলিশের পরিবর্তে জেলা পুলিশ নিয়োগ ◈ হাসিনার ফাঁসির রায়: বৈঠক শেষে যে বার্তা দিলো বিএনপি ◈ শেখ হাসিনার রায় নিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের প্রতিক্রিয়া ◈ শেরপুরে স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি ◈ কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়: প্রধান উপদেষ্টা ◈ পল্লবী‌তে দোকানে ঢুকে থানা যুবদল নেতা কিব‌রিয়া‌কে গুলি করে হত্যা  ◈ যেই দুই উপায়ে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব, জানালেন তাজুল ইসলাম (ভিডিও) ◈ গোপালগঞ্জে দলের সব পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা আ. লীগ সভাপতির ◈ হাসিনা রায়ের খুশিতে মিষ্টি বিতরণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ: বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু ◈ হাসিনা রায়ের পর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে হুম্মাম: ‘বাবা বলেছিলেন, পুরো দেশেরও একই বিশ্বাস ছিল’

প্রকাশিত : ০৪ এপ্রিল, ২০২৪, ০৫:১৭ সকাল
আপডেট : ০৪ এপ্রিল, ২০২৪, ০৫:১৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিল্পী হিসেবে কাজের সঠিক তৃপ্তি হুমায়ূন স্যারের কাজ থেকেই পেয়েছি 

ডা. এজাজুল ইসলাম

ডা. এজাজুল ইসলাম : তখন চাকরিতে আমি নতুন। সবে বিসিএস পাস করে জয়েন্ট করেছি পিজি হাসপাতালে। এরপরেই হুমায়ূন আহমেদ স্যারের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমার শুটিং। স্যারের সাথে আমার প্রথম ছবি। কী যে উত্তেজনা কাজ করছিলো তখন, বলে বোঝানো যাবে না। মাথার মধ্যে ওই ছবি ছাড়া অন্য  কোনো চিন্তা ই ছিল না। স্যার আমাকে কাস্ট করার পর হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে শুটিংয়ে যাই। গানের শুটিং করছি তখন হাসপাতাল থেকে খবর এলো, পরদিন মন্ত্রী মহোদয় হাসপাতালে আসতে পারেন। আমার ছুটির আবেদনে সমস্যা আছে। এটা নিজে এসে ঠিক করতে হবে। মন্ত্রী এসে দেখলে চাকরি নিয়ে টানাটানি পড়ে যাবে। কিন্তু আমি ‘অসম্ভব’ বলে এড়িয়ে গেলাম। 
জানালাম, সমস্যা থাকলে শুটিং শেষ করে এসে ঠিক করবো। কোনোভাবেই শুটিং ছেড়ে আসতে পারবো না। পরদিন খবর পাই, মন্ত্রী ঠিকই হাসপাতালে গিয়েছিলেন। আমাকে সাসপেন্ড করেছেন। শোনার পর আমার একটুও বিকার হয়নি। হাসপাতাল থেকে লোক এসে আমাকে বলেছিল, স্যার দ্রুত ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু তারপরেও আমি শুটিং ছেড়ে যাইনি। এতে স্যার (হুমায়ূন আহমেদ) যদি রাগ করতেন। আমি বলে দিয়েছিলাম, ছবির কাজ শেষ হবে। তারপর যাবো। এতে আমার চাকরি থাকলে থাকবে, না থাকলে সাসপেন্ড হয়ে থাকবো। কোনো চিন্তা নেই। কারণ নিশ্চিত ছিলাম আমি চলে গেলে স্যার কষ্ট পাবেন। 

আমার চাকরির চেয়ে স্যারের কষ্টটা আমার কাছে বেশি ছিল। শেষ পর্যন্ত আমি যাইনি। ঠিকই ছিলাম। পরে অনেক চাকরি নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আবার চাকরিতে বহাল হই। স্যারের নাটকে অভিনয় করে যে তৃপ্তি পেতাম এখন কাজ করে ওই তৃপ্তি আর পাইনা। ৩ মাসে স্যারের একটা নাটক করে যে তৃপ্তি পেতাম আমি ফিল করি এখন ৩ বছরেও সেই তৃপ্তি পাইনি। শিল্পী হিসেবে কাজের সঠিক তৃপ্তি হুমায়ূন স্যারের কাজ থেকেই পেয়েছি। অন্যদের কাজ করে সেভাবে তৃপ্তিটা পাই না। এটা দুর্ভাগ্য আমার। কার্টেসি : চ্যানেল আই অনলাইন (ঈষৎ সংক্ষেপিত)। হুমায়ূনের ভুবন। ফেসবুক থেকে 

 
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়