মুসবা আলিম তিন্নি: [২] মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটে দেশের একমাত্র তরল স্যালাইন উৎপাদন কেন্দ্রে ফের স্যালাইন তৈরির জোর প্রচেষ্টা চলছে। ২০২০ সালের ২৪ জুন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার শর্ত পূরণ করতে না পারায় স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এসব শর্ত পূরণ করেই শীঘ্রই স্যালাইন তৈরি করা হবে বলে জানান ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মো. নাসির উদ্দিন।
[৩] এই বিষয়ে ‘দৈনিক আমাদের নতুন সময়’কে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এক মত পোষণ করায় শিগগির স্যালাইন উৎপাদন কার্যক্রম আবারও শুরু হতে পারে। সাড়ে তিন বছর আগে একটা ড্রাগ লাইসেন্সের জন্য ডাব্লিউএইচও এর কিছু মানদণ্ডের বিচারে অসফল হওয়ায় এবং কিছু শর্তের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটি তখন স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। তবে বর্তমানে আমরা সেই শর্তগুলো একটু একটু করে পূরণ করছি তাই লাইসেন্সটি হয়তো আমরা পেতে পারি।
[৪] তিনি বলেন, আমাদের প্রথম শর্ত ছিলো এটির গঠনপ্রণালী নিয়ে তবে ডিজিডিএ,এইচইডি,পিডাব্লিউডি এটি পাশ করে দিয়েছে এবং এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। ডেঙ্গুসহ নানা কারণে স্যালাইনের অভাবে দুর্ভোগের সম্মুখিন হচ্ছে মানুষ। তাই স্যালাইন পুনরায় উৎপাদন জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
[৬] তিনি আরও জানান স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত বছরে ১৪ লাখ স্যালাইন ব্যাগ তৈরি করা সম্ভব হচ্ছিল। যদিও স্যালাইন তৈরি করার সক্ষমতা রয়েছে প্রায় ২০ লাখ ব্যাগ স্যালাইন। প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর বন্ধ ছিলো এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রটি খুবই সেনসিটিভ কাজেই নানা দিক বিবেচনায় আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০ কোটি টাকা ব্যয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আশাকরা যায় পুণরায় এটি চালু হলে আবারও আন্তর্জাতিক মানের কাঁচামাল দিয়েই স্যালাইন উৎপাদন করা হবে।
[৭] এদিকে জনস্বাস্থ্যবিদ ড. বে-নজীর আহমেদ বলেন, যতদ্রুত সম্ভব পুণরায় স্যালাইন উৎপাদন শুরু করে দেয়া উচিত এবং পুনরায় মানসম্মত ভাবেই যেনো এটি তৈরি হয় সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। এটি যেহেতু মেডিক্যাল প্রোডাক্ট কাজেই কোয়ালিটিতে যদি সমান্যতম তারতম্য তাহলে সমস্যা। মানুষের শরীরে এটি প্রবেশ করানোর পরে যেনো কোনো সাইডইফেক্ট না হয় সেটা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। তবে যে কারণগুলোর জন্য এর উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো এসব সমস্যা যাতে ফের না দেখা দেয় সেটা অবশ্যই কর্র্তৃপক্ষকে খেয়াল রাখতে হবে।
[৮] ড. বে-নজীর আরও মন্তব্য করেন, যথেষ্ট যোগ্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোকবলকে স্যালাইন উৎপাদনে কাজে লাগাতে হবে। ভালো যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হবে। সম্পাদনা: রাশিদ
এমটি/আর/এইচএ