মাজহারুল মিচেল: হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) প্রধান অ্যাডভোকেসি অফিসার ব্রুনো স্ট্যাগনোর উগার্তে সোমবার তার এক প্রতিবেদন ও টুইটবার্তায় এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, শান্তিরক্ষীরা, বিশেষ করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কোন সদস্য হলে তাদের কর্মজীবনের অতীত ইতিহাস ও জাতিসংঘের মানবাধিকার স্ক্রিনিং পলিসি যাচাই করা দরকার। সেই সঙ্গে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম ও নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে কিনা; সে ব্যাপারেও তদন্ত করে দেখা উচিত।
কারণ হিসেবে ব্রুনো লিখেছেন, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী, বিশেষ করে, সামরিক ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত ইউনিট র্যাব দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত।
তিনি বলেন, জাতিসংঘে কর্মরত তাদের (বাংলাদেশের) নাগরিকরা মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন যেনো না করে তার নিশ্চয়তার লক্ষ্যে সরকারের ব্যাপক কাজ করা দরকার। জাতিসংঘেরও উচিত শুধু র্যাব অফিসার নয়, সকল সেনাকেই বাছাই করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে মোতায়েন করা। আর যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাবে তাদেরকে নিষিদ্ধ করা।
তিনি জানান, বাংলাদেশে জাতিসংঘ কর্তৃক পদ্ধতিগত মানবাধিকার স্ক্রীনিং শুধুমাত্র উচ্চ পদে প্রয়োগ করা হয়। অন্যদের ক্ষেত্রে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছ থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
তিনি জানান, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের রেকর্ড পর্যালোচনা করার সময় জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়, র্যাবের কর্মীরা প্রায়শই জাতিসংঘের শান্তি মিশনে কাজ করায় তারা উদ্বিগ্ন।
ব্রুনো স্ট্যাগনো জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল জিন-পিয়েরে ল্যাক্রোইএক্সকের আসন্ন বাংলাদেশ সফরকে সামনে রেখে সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে তার এ প্রতিবেদন দেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এমএম/এসবি/এনএইচ