আনিস তপন: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের নিয়ে এসেছেন এবং তাকে জাতীয় কবি হিসেবে নির্বাচিত করেছেন।
শনিবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর কবিতা নিয়ে বাঁশি, আবৃত্তি ও নৃত্যানুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি' এটিকে জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করেছেন। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম যখন সঙ্গে আছেন, তখন আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড থেমে থাকতে পারে না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু দুই কবির চিন্তাভাবনার উন্মেষ ঘটিয়েছেন। বাঙালি পরিচয় দেয়ার পাশাপাশি একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছেন। তাই জাতীয় কবির পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুকেও স্মরণ করতে হবে। তবেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
জাতির পিতাকে হত্যার পর সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড রাজনৈতিক বেড়াজালে আটকে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ই মে দেশে এসেছেন বলেই সংস্কৃতি বেঁচে গেছে। সংস্কৃত কর্মীরা বেঁচে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী রাজনীতির পাশাপাশি সাংস্কৃতিকেও এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তিনি সংস্কৃতিকে প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতিকে ধরে রাখার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকেও সংস্কৃতিকে কখনো পাশ কাটিয়ে যাননি। সবসময় পাশে ছিলেন।
বাংলাদেশের সংস্কৃতির সঠিক চর্চায় নজরুলকে সব সময় স্মরণ করতে হবে। তাহলে সংস্কৃতি অন্ধ, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর ছায়ায় ডেকে যাবে না। যেই স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখিয়েছেন। ‘বৈতরণী’ আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া
এটি/এসএইচবি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :