মনিরুল ইসলাম: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে তাঁর কার্যালয়ে হরিজন সেবক সংঘের সভাপতি অধ্যাপক ডঃ শঙ্কর কুমার সান্যালের নেতৃত্বে বাংলাদেশে গান্ধীবাদী প্রতিনিধি দলের ১৬ জন সদস্য সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বুধবার সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ -ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, বঙ্গবন্ধু ও গান্ধীর আদর্শ ও দর্শন, ধর্মনিরপেক্ষতা, অসাম্প্রদায়িকতা, শান্তি ও সম্প্রীতির পক্ষে একত্রে কাজ করে যাওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন শান্তির জন্য কাজ করেছেন। এজন্য তিনি জুলিও কুরি পুরস্কার পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধু মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং সংবিধানেও ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ ও দর্শন ধারণ করে সকলকে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যেতে হবে।
'আজ থেকে এই বাংলাদেশের কোর্ট-কাচারী, আদালত-ফৌজদারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।.....। ২৮ তারিখে কর্মচারীরা গিয়ে বেতন নিয়ে আসবেন।'-বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে স্পীকার বলেন, মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনের সাথে বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলনের মিল রয়েছে।
এসময় তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সমর্থন ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীসহ ভারতীয় জনগণকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
হরিজন সেবক সংঘের সভাপতি অধ্যাপক ডঃ শঙ্কর কুমার সান্যাল বলেন, হরিজন সেবক সংঘ হিন্দু-মুসলিম, উচ্চবর্ণ- নিম্ন বর্ণের সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি তৈরি এবং অস্পৃশ্যতা নিবারণ করতে কাজ করে চলেছে। এ সংঘের লক্ষ্য সারা পৃথিবীতে শান্তি ছড়িয়ে দেওয়া। এজন্য তারা বঙ্গবন্ধু এবং মহাত্মা গান্ধীকে উপলক্ষ করে পিস ভিজিটে বাংলাদেশে এসেছেন।
তিনি বলেন, মহাত্মা গান্ধী বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন এবং এ সংঘ ভারত বাংলাদেশ মৈত্রীকে সুদৃঢ় করার জন্য নিরলস কাজ করে যাবে। এসময় সংঘের পক্ষ থেকে সভাপতি স্পীকারকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া