মাজহারুল মিচেল: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ছয় মাস আগে বিদেশি দূতদের কেউ কেউ দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কাজ করেছিলেন, আবারো একই ঘটনা হলে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেবে সরকার। সূত্র: ডিবিসি নিউজ, মানবজমিন, সময় টিভি
বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সুযোগ তৈরিতে জরুরি পদক্ষেপ চেয়ে সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে লেখা দেশটির ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানের চিঠি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে তথ্যের বড় ধরনের ঘাটতি আছে। আমরা প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করব। চিঠিটি দুর্বল ও সস্তা। আমরা চিঠিটা সংগ্রহও করেছি।
অন্যান্য চিঠিপত্রের মতো এখানেও অসামঞ্জস্য আছে। অন্যান্য চিঠির মতো বাড়াবাড়ি আছে।
তিনি জানান, যে ছয় কংগ্রেসম্যান চিঠি দিয়েছে তাদের সঙ্গে সরকার কথা বলবে। শুধু তাই না, এ অঞ্চল নিয়ে বা এ ধরনের বিষয়ে যাদের আগ্রহ আছে তাদের সকলকেই নিয়মিতভাবে আমাদের অবস্থান জানাবো। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
তিনি বলেন, আমাদের দেশেও রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্যরা, বিশেষ করে অন্য দলের সংসদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে অনেক কিছু বলেন। কেউ হয়তো লেখেনও, কিন্তু আমরা সেটি জানি না। হয়তো আমার বিরুদ্ধে বলেন বা লেখেন। এটি রাষ্ট্র বা সরকারের প্রধানের ওপর নির্ভর করে তিনি ওই চিঠি বা কথাগুলো বিবেচনায় নেবেন কি নেবেন না।
তিনি বলেন, এ রকম চিঠি অতীতেও এসেছে। ভবিষ্যতে আরও বেশি আকারে আসতে পারে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড আরও বাড়বে। তবে গণমাধ্যমকে এটা যাচাই করে নিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদেশে কারো কাছে ধর্ণা দিয়ে বা কারো চাপে পড়ে বা কারো সঙ্গে সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতেই হবে, এরকম কোনও নীতির প্রতি অগ্রসর হবো না আমরা। বাংলাদেশের মানুষকে পেছনে ফেলে দেওয়ার নীতিতে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না। কংগ্রেসম্যানের চিঠি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে ফাটল ধরাতে পারবে না বলে মনেও করেন শাহরিয়ার আলম। সূত্র: ঢাকা পোষ্ট
নির্বাচন সামনে রেখে লবিস্টদের তৎপরতা বাড়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, তারা (লবিস্ট) তাদের কাজ করবে। আমরা আমাদের কাজ করব। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব