মনিরুল ইসলাম: প্রধানমন্ত্রী ও সংসদনেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, শুধু বিদ্যুৎ নয় সব জিনিস ব্যবহারেই সাশ্রয়ী হতে হবে। সেই সঙ্গে আমাদের খাদ্য উৎপাদনও বাড়াতে হবে। আমাদের চেষ্টা করে যেতে হবে।
রোববার জাতীয় সংসদে উত্থাপিত এক শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আফসারুল আমীনের মৃত্যুতে সংসদে এ শোক প্রস্তাব আনা হয়। পরে তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
সংসদনেতা বর্তমান বৈশ্বিক সংকট নিয়ে কথা বলেন। সরকার জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলেও সংসদকে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে খাদ্য মন্দা, মুদ্রাস্ফীতি, পরিচালনা ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি, বিদ্যুতের ঘাটতি প্রত্যেকটি মানুষের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে। এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আর কতদিন চলবে তা কেউ বলতে পারে না। হয়ত বিশ্ব পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। আজকে স্বাধীনতার সুফল মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাচ্ছে। মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি হয়েছে। যদিও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, স্যাংশন, পাল্টা স্যাংশন, বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি তেলের অভাব, যার জন্য এখন শুধু বাংলাদেশ নয়, উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে।
তিনি বলেন, ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে জ্বালানির অভাব হচ্ছে। সেখানে লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ ব্যবহার সীমিত করা হচ্ছে। খাদ্য পণ্য থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। উন্নত দেশেও বহু মানুষ চাকরি হারাচ্ছে। এমন একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সারা বিশ্বব্যাপী। আমি জানি না আর কখনো এ রকম পরিস্থিতি হয়েছিল কি না। হয়ত প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে তো দুর্ভিক্ষ, মন্বন্তর দেখা দিয়েছিল।
আফসারুল আমীনকে স্মরণ করে সংসদনেতা শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। প্রতিটি সংগ্রামে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। দলের প্রতি তার নিষ্ঠা ও সততা ছিল অতুলনীয়। তিনি মন্ত্রী হিসেবেও অত্যন্ত সাফল্য দেখিয়েছেন।
শোক প্রস্তাবের ওপর অন্যদের মধ্যে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খান, মোতাহার হোসেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, মুজিবুল হক চুন্নু এবং মসিউর রহমান রাঙা বক্তব্য রাখেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এমআই/এসবি/এনএইচ