মনিরুল ইসলাম: ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর আজ ৫২ বছর হলো বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে সগর্বে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। তলাবিহীন ঝুঁড়ি থেকে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোলমডেল। একদিনে এসব অর্জন আসেনি। এর জন্য শত ত্যাগ, তিতিক্ষা ও বিশাল কর্মযজ্ঞ, সুশাসন সর্বোপরি দেশের মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে।
আজ এত পরিবর্তনের সূচনা ২৬ মার্চ, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমেই, যার মধ্যে দিয়েই আমরা আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। মহান স্বাধীনতা দিবসে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি মহান মুক্তিযোদ্ধাদের, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, এছাড়াও আমাদের মহান নেতাদের ও দেশের মানুষদের যারা সবাই মিলিয়ে কাঁধে কাঁধ না রেখে লড়াই না করলে আজ ও আমরা পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকতাম।
রোববার মহান স্বাধীনতা দিবসের এক বিবৃতিতে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্তজা এবং মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা এসব কথা বলেন।
এছাড়াও নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এই মহান স্বাধীনতা দিবসে নেতৃবৃন্দ আশা করেন, রাষ্ট্রযন্ত্র, প্রশাসন, আমলা, সচিব, মন্ত্রী সকলকে আরো আন্তরিক ও সততার সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করতে হবে৷ দেশ ও দেশের মাটি ও মানুষকে ভালোবেসে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
বাংলাদেশের বর্তমান বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আমরা নাজুক হয়ে পড়ছি, অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি অবশ্যই রাষ্ট্র হিসেবে সম্পদের সঠিক বন্টন, জনগণের মৌলিক অধিকার, বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। কেননা, খাদ্য, বস্ত্র, অন্যান্য অধিকার সকলের মধ্যে বন্টন করতে না পারলে, প্রকৃত স্বাধীনতা কখনোই অর্জন হবে না। অর্থনৈতিক মুক্তি দেশের জন্য মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশে ঋনখেলাপীর সংখ্যা, বিদেশে ক্রমাগত সম্পদপাচার, ব্যবসায়ীদের অসাধু সিন্ডিকেট ও দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্ধ্বগতি আমাদের সমগ্র উন্নয়নকে ব্যাহত ও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আজ উন্নয়ন কতটা টেকসই হচ্ছে, এটা নিয়ে অনেকের কাছেই প্রশ্ন ও শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এসব অপশক্তিকে কঠোর হাতে দমন করেই, আমাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন করতে পারব।
এমআই/এসএ
আপনার মতামত লিখুন :