সুজন কৈরী: বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সমুদ্র মহড়া পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। শুক্রবার কোস্টগার্ডের জাহাজ তাজউদ্দিনে উপস্থিত থেকে এই মহড়া পরিদর্শন করেন তিনি।
মহড়া পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় কোস্টগার্ডকে আমরা শক্তিশালী করেছি। সক্ষমতা ও জনবল বৃদ্ধি করেছি। এছাড়া কোস্টগার্ডকে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। আমরা বলতে পারি কোস্টগার্ডের সক্ষমতা দিন দিন বাড়ছে।
তিনি বলেন, আমাদের পূর্ব ও দক্ষিণ অঞ্চলে কোস্টগার্ড শুধু সমুদ্র বন্দরই নয়, তারা সবধরনের নিরাপত্তায় কাজ করছে। মানব ও মাদক পাচার রোধে সফল ভূমিকা রাখছে। আমরা মনে করি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কোস্টগার্ড দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী যখন বিরোধী দলীয় নেত্রী ছিলেন তখন সংসদে একটি বেসরকারি বিল তুলে মাত্র একটি জাহাজ দিয়ে কোস্টগার্ডের যাত্রা শুরু হয়েছিলো।
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের অতীত ও বর্তমান চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে লাল তালিকাভুক্ত করা হয়েছিলো। আমাদের এত বড় বন্দর, সেখানে তখন জাহাজ আসতে নানান ধরনের প্রশ্ন তোলা হত। কিন্তু এখন আর সেই অবস্থা নেই।
মহড়ায় কোস্টগার্ডের জাহাজগুলোর স্টিম পোস্ট, ভিবিএসএস এক্সারসাইজ, ২০মিটার রেসকিউ বোট, মেটাল শার্ক, জাহাজ কামরুজ্জামানের মাধ্যমে পলিউশন কন্ট্রোল এক্সারসাইজ, ডিসপারসেন্ট ডেলিভারি ও ওয়াটার গান অপারেশন প্রদর্শন করা হয়।
সফরসঙ্গী হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ ও কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সমুদ্র মহড়ায় অংশ গ্রহণের মাধ্যমে কোস্ট গার্ডের সকল স্তরের সদস্যরা আরো অনুপ্রানিত হয়ে সমুদ্র উপকূল রক্ষায় অগ্রনী ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।