শিরোনাম
◈ চালক-যাত্রীদের অনুরোধেও সড়ক ছাড়েননি ছাত্র-জনতা ◈ আজ সন্ধ্যায় দেশে পৌঁছাবে ওসমান হাদির মরদেহ, শনিবার জানাজা ◈ তারেক রহমানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে যে দুই ইস্যু ◈ যেভাবে বিপ্লবী হয়ে উঠেছিলেন শরিফ ওসমান হাদি ◈ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন-ভাঙচুর (ভিডিও) ◈ শাহবাগে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে যোগ দিলেন নাহিদ-আসিফ (ভিডিও) ◈ হাদির মৃত্যু: চট্টগ্রামে নওফেলের বাড়িতে আগুন-ভাঙচুর ◈ কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার অফিসে হামলা-ভাঙচুর (ভিডিও) ◈ দেশে ফিরলে তারেক রহমানকে এসএসএফের নিরাপত্তা দেবে সরকার ◈ ‘ভাইয়া আমার বাচ্চাটারে একটু দেইখেন’—বলে কেঁদেছিলেন হাদি (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০১ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৪৫ দুপুর
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

এখনও নিরাপত্তা বাহিনীকে এখ‌নো রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের অভিযোগ

এল আর বাদল : আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতার সবচেয়ে বেশি অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিশেষ বাহিনী র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র‍্যাবের বিরুদ্ধে।

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীনই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এই বাহিনী এবং এর সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

জুলাই আন্দোলনের পর শেখ হাসিনার পতন হলে নানা খাত সংস্কারের উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার, যার ধারাবাহিকতায় গঠিত হয় পুলিশ সংস্কার কমিশন। ----- সূত্র, বি‌বি‌সি বাংলা

বলা হয়েছিল, রাজনৈতিকভাবে তাদের ব্যবহারের যে প্রবণতা তৈরি হয়েছিল, তা থেকে নিরাপত্তা বাহিনীকে মুক্ত করা হবে।

এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় থেকে র‍্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করা হয়। একইসাথে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবিকে সীমান্তরক্ষা এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তরকে সামরিক গোয়েন্দা তৎপরতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে বলা হয়।

তারপর প্রায় আট মাস কেটে গেলেও র‍্যাবসহ বাহিনীগুলোর ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পোশাক পরিবর্তনের আলাপ ছাড়া প্রত্যক্ষ কোনো সংস্কার দেখা যায়নি বাহিনীগুলোতেও। তবে নির্যাতন ও গুমবিরোধী কিছু আন্তর্জাতিক সনদে সই করেছে সরকার।

কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর কাজের ধরণ অর্থাৎ যেভাবে তারা ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিয়ে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কিংবা নির্যাতনে লিপ্ত হতেন, সেই "সিস্টেম্যাটিক জায়গায় অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ধরনের সংস্কার করতে পারেননি" বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

"অনেক জায়গায় এই ঘটনাগুলো ঘটার পর তদন্তের দায়িত্বও পুলিশ কর্মকর্তারা পাচ্ছেন। তার মানে হচ্ছে দিনশেষে জাস্টিস (ন্যায়) পাওয়ারও কোনো ধরনের সুযোগ নেই", বলছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ মোহাম্মদ শাহান।

ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সুস্পষ্ট কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসা না গেলে এখনতো বটেই, পরবর্তী যে রাজনৈতিক দলই সরকার গঠন করবে, তারাও এই বাহিনীকে আবার "মনস্টার" বানিয়ে ব্যবহারের শঙ্কা থাকবে, যা "খুবই উদ্বেগজনক" বলে মনে করছেন তিনি।

অন্যদিকে রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে আইনের বাইরে কাজ বা তৎপরতাকে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও এই ধরনের ঘটনা ঘটার কারণ হিসেবে দেখছেন মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন।

সরকার দৃঢ় অবস্থান না নেওয়ার কারণে এই ঘটনাগুলো ঘটছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সেক্ষেত্রে "দক্ষতা ও সাহসের অভাব"কে ফ্যাক্টর হিসেবে দেখছেন এই মানবাধিকারকর্মী।

"অরাজনৈতিক এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হলেও এই সরকার অনেক সময় নিয়ে নিচ্ছেন, ফলে পুরো বিষয়টা লেজেগোবরে করে ফেলছেন", বলেন মি. লিটন।

এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাঠানো লিখিত জবাবে জানানো হয়, "বাংলাদেশ পুলিশ প্রতিটি ঘটনাকে বিচার- বিশ্লেষণ ও তদন্তের মাধ্যমে যাচাই করে দেখে থাকে। কোথাও যদি পুলিশের হেফাজতে কিংবা অনেক ক্ষেত্রে পুলিশে হস্তান্তরের পর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে, তাহলে সেটি গুরুত্বসহকারে তদন্তের আওতায় আনা হয়"।

প্রত্যেক ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়