২০২৫ সাল থেকে বাংলাদেশের ভূমি মালিকদের জন্য খাজনা দেওয়ার পদ্ধতি নতুনভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন সিস্টেম অনুযায়ী প্রত্যেক শতক জমির জন্য নির্ধারিত খাজনার হার অনুযায়ী পরিশোধ করতে হবে। শুধু তাই নয়, শহর এবং গ্রামের জমির জন্য পৃথক শ্রেণী তৈরি করা হয়েছে, যা অনুযায়ী খাজনা দিতে হবে।
নতুন পদ্ধতির মূল বৈশিষ্ট্য:
•গ্রামের আবাসিক জমিতে সম্পূর্ণ পাকা বাড়ি থাকলে শতক প্রতি ৬ টাকা খাজনা।
•গ্রামাঞ্চলের বাণিজ্যিক জমিতে শতক প্রতি ৬–১০ টাকা খাজনা।
•শহরের বাণিজ্যিক জমিতে ৩০–৫০ টাকা খাজনা, নির্দিষ্ট জেলাভেদে সামান্য পার্থক্য থাকতে পারে।
•কৃষি জমি (যেমন ২৫ বিঘা বা তার কম) থাকলে প্রতি বছর মৌকুফ দাখিলা নেওয়ার শর্তে খাজনা প্রদানের প্রয়োজন নেই।
•বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত চাষ, খামার বা চা-বাগান থাকলে শতকপ্রতি দুই টাকা হারে খাজনা দিতে হবে।
বকেয়া খাজনার নিয়ম:
যদি পূর্ব বছরের খাজনা পরিশোধ না করা হয়, তবে পরবর্তী বছর চক্রবৃদ্ধি সুদসহ (প্রায় ১১%) সেই খাজনা দিতে হবে। অনিয়মিত খাজনা প্রদানের কারণে জমি সরকারিভাবে খাস করা হতে পারে।
অনলাইনে খাজনা প্রদানের সুবিধা:
•land.gov.bd, idtax.gov.bd বা ldtax.gov.bd-এ প্রবেশ করে হোল্ডিং তথ্য যাচাই করা যাবে।
•অনলাইনে খাজনা পরিশোধের পরে সরকারি দাখিলা ডাউনলোড করা যাবে, যা জমি রেজিস্ট্রেশন বা অন্য সরকারি কার্যক্রমে ব্যবহারযোগ্য।
•বিকাশ, নগদ, রকেটসহ বাংলাদেশের সকল অনলাইন ব্যাংকিং সিস্টেমের মাধ্যমে খাজনা পরিশোধ সম্ভব।
ভূমি মালিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ: প্রত্যেক বছরের খাজনা সময়মতো পরিশোধ করলে ভবিষ্যতে আইনি জটিলতা এড়ানো সম্ভব। নতুন সিস্টেমের মাধ্যমে শহর ও গ্রামে খাজনা প্রদান সহজ এবং স্বচ্ছ হয়ে উঠেছে।
উপসংহার:
নতুন শতকপ্রতি খাজনার হার এবং অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে ভূমি মালিকরা সহজে খাজনা প্রদান করতে পারবে এবং জমি সংক্রান্ত সকল রেকর্ড সর্বদা আপডেট রাখতে পারবে।
সূত্রঃ জনকণ্ঠ,