শিরোনাম
◈ বিশেষ স্কিমে টাকা ফেরত পাবেন একীভূত পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীরা! ◈ তাসকিন ও মুস্তাফিজের কারণে আমরা হে‌রে গে‌ছি: দাসুন শানাকা ◈ এইচওয়ানবি ভিসার নতুন মার্কিন ফি 'অমানবিক পরিণতি' বয়ে আনবে: ভারত ◈ প্রধান উপদেষ্টার সরকারি সফরে রাজনৈতিক দ‌লের প্রতিনিধিরা কেন সঙ্গী? ◈ জি‌নে‌দিন জিদা‌নের ছে‌লে আলজেরিয়ার হয়ে খেলবেন  ◈ শিক্ষার্থীদের ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগানে বক্তব্য শেষ না করেই ফিরলেন উপাচার্য ◈ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জোট রাজনীতিতে নতুন আলোচনা ◈ চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত শুল্ক এক মাসের জন্য স্থগিত ◈ অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে পোষ্য কোটা স্থগিত, জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকেছে রাবি ◈ সাইফ ও হৃদয়ের দুর্দান্ত ব‌্যা‌টিং‌য়ে শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে সুপার ফোরে সুন্দর সূচনা বাংলাদেশের

প্রকাশিত : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৯:৩২ সকাল
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:২৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নামজারি সেবা এখন অনলাইনে, আর যেতে হবে না ভূমি অফিসে

সংক্রান্ত কাজে আর দিনের পর দিন অফিসে দৌড়ঝাঁপ নয়। ঘরে বসেই অনলাইনে সম্পন্ন করা যাচ্ছে জমির মালিকানা পরিবর্তন বা নামজারি (মিউটেশন)। নাগরিকবান্ধব এ উদ্যোগে সময় ও খরচ— দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে, কমছে ভোগান্তি।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে অনলাইনে প্রতি মাসে প্রায় ৫ লাখ নামজারি মামলা নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। দেশের ৫১৬টি উপজেলা ও সার্কেল ভূমি অফিস এবং ৩ হাজার ৪৬৭টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ই-নামজারি সেবা চালু রয়েছে (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া)।

মিউটেশন কী?

মিউটেশন হলো জমি সংক্রান্ত মালিকানা পরিবর্তনের প্রক্রিয়া। বৈধ পদ্ধতিতে জমির মালিকানা অর্জনের পর সরকারি রেকর্ড সংশোধন করে নতুন মালিকের নামে রেকর্ড হালনাগাদ করাকেই মিউটেশন বলা হয়। প্রক্রিয়া শেষে মালিককে একটি খতিয়ান দেওয়া হয়, যেখানে জমির বিস্তারিত হিসাব থাকে।

যেভাবে করবেন অনলাইনে ই-নামজারি

১. প্রথমে https://mutation.land.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে “অনলাইনে আবেদন করুন” অপশনে ক্লিক করতে হবে।

২. আবেদন ফরমে জমির উৎস (ক্রয়, ওয়ারিশ, হেবা, ডিক্রি ইত্যাদি) এবং জমির মৌজা, খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বরসহ তথ্য দিতে হবে।

৩. আবেদনকারীর ছবি, স্বাক্ষর, জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/জন্ম নিবন্ধন, সর্বশেষ ভূমি উন্নয়ন করের রশিদ, দলিল বা আদালতের রায়সহ প্রমাণক স্ক্যান করে যুক্ত করতে হবে।

৪. প্রতিটি পিডিএফ ফাইল সর্বোচ্চ ১.২৫ এমবি এবং মোট সংযুক্তি ২৫ এমবির মধ্যে থাকতে হবে।

৫. আবেদন জমা দিলে আবেদন নম্বর পাওয়া যাবে। এটি দিয়েই পরে ট্র্যাকিং করা যাবে।

৬. আবেদন ও নোটিশ ফি ৭০ টাকা অনলাইনে (বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায়, ভিসা/মাস্টারকার্ড ইত্যাদি মাধ্যমে) পরিশোধ করতে হবে।

৭. চাইলে অনলাইনে শুনানির আবেদনও করা যাবে।

৮. সাধারণত ২৮ দিনের মধ্যে আবেদন নিষ্পত্তি হয়। অনুমোদনের পর এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে এবং অনলাইনে ১,১০০ টাকা ডিসিআর ফি পরিশোধ করে খতিয়ান ও ডিসিআর প্রিন্ট করা যাবে।

ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কিউআর কোডযুক্ত অনলাইন ডিসিআর আইনগতভাবে বৈধ এবং সমতুল্য। তাই আর ম্যানুয়াল ডিসিআর সংগ্রহের প্রয়োজন নেই।

? ঘরে বসে সহজে সম্পন্ন করা এই অনলাইন ই-নামজারি সেবা এখন দেশের লাখো মানুষের ভূমি সংক্রান্ত কাজের ঝামেলা কমিয়ে দিচ্ছে। সূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়