বাংলাদেশে জমি কেনাবেচা বা জমি সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মালিকানা সঠিকভাবে প্রমাণ করা। প্রকৃত মালিক কে—তা নির্ধারণে নির্দিষ্ট কিছু দলিল ও সরকারি রেকর্ড থাকা বাধ্যতামূলক। বিশেষজ্ঞরা বলেন, জমির মালিকানা যাচাইয়ের মূল কৌশল হলো “চেইন অব টাইটেল” বা মালিকানার ধারাবাহিকতা প্রমাণ করা।
একটি জমি এক মালিক থেকে আরেক মালিকের কাছে কীভাবে হস্তান্তর হয়েছে, তা বোঝার জন্য নিচের খতিয়ানগুলো দেখা হয়:
জমি ক্রয়ের মাধ্যমে মালিক হলে যেসব কাগজপত্র লাগবে
ওয়ারিশ সূত্রে জমির মালিকানা হলে
সম্পূরক প্রমাণ হিসেবে যেসব নথি দরকার
কেন এসব নথি গুরুত্বপূর্ণ?
বাংলাদেশে জমি নিয়ে জালিয়াতি ও বিরোধ খুবই সাধারণ ঘটনা। শুধু দলিল থাকলেই মালিকানা প্রমাণ হয় না—সরকারি রেকর্ডেও তথ্য সঠিক থাকতে হবে। এজন্য নামজারি করা বাধ্যতামূলক। আইনজীবীরা বলেন—
“দলিল, খতিয়ান ও দখল—এই তিনটির সমন্বয়েই প্রকৃত মালিকানা নিশ্চিত হয়।”
জমি কেনার আগে করণীয় ৪ ধাপ
১. দলিল যাচাই করুন
২. খতিয়ান মিলিয়ে দেখুন
৩. নামজারি নিশ্চিত করুন
৪. সরেজমিনে জমি পরিদর্শন করুন
প্রকৃত মালিকানা সুরক্ষিত রাখতে অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিন এবং সব নথি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করুন। এতে ভবিষ্যতের আইনি জটিলতা থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব।