শিরোনাম
◈ জনগণ রায় দিলে ৫ বছরেই দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন করা সম্ভব: জামায়াত আমীর ◈ সহকারী শিক্ষকদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা ◈ রাতে ঢাকাবাসীর জন্য দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর ◈ ডাকসুর পর জাকসুতেও শিবিরের জয়জয়কার ◈ এআই মানবীকে মন্ত্রী বানিয়ে দিল বিশ্বের প্রথম দেশ আলবেনিয়া! ◈ জাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি কে এই আবদুর রশিদ জিতু ◈ কলকাতায় সাইনবোর্ডে বাংলায় নাম লেখা বাধ্যতামূলক, না মানলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি মেয়রের ◈ জাকসুর ভিপি স্বতন্ত্রের জিতু, জিএস শিবিরের মাজহার ◈ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে: আলী রীয়াজ ◈ ভোলা মসজিদের খতিব ও ইসলামী বক্তা নোমানী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত সন্তান গ্রেপ্তার

প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৬:৩০ বিকাল
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতালে প্রবেশে কড়াকড়ি

সরকারি হাসপাতালগুলোতে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাতে সময়সীমা বেধে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এখন থেকে তারা শুধু সোমবার ও বৃহস্পতিবার, দুপুর ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত, অর্থাৎ সপ্তাহে সর্বোচ্চ পাঁচ ঘণ্টা চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন।

গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ড. এ বি এম আবু হানিফ স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। দেশের সব সরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের কাছে পাঠানো হয়েছে এটি।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময় ছাড়া কোনো ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি সরকারি হাসপাতালের সীমানার ভেতরে থাকতে পারবেন না। সাক্ষাতের সময় তাদের অবশ্যই নিজ নিজ কোম্পানির পরিচয়পত্র গলায় দৃশ্যমানভাবে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।

প্রতিনিধিরা রোগীর কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন না, এমনকি ব্যবস্থাপনার ছবিও তোলা যাবে না—বিষয়টি পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশনায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের কক্ষগুলোতে ওষুধ প্রতিনিধিদের ভিড়ে অনেক সময় রোগীরা ভোগান্তিতে পড়েন। চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এই সমস্যার সমাধানেই এমন উদ্যোগ।’ পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, সরকারি হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক বেসরকারি ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্যাডে ব্যবস্থাপত্র লিখতে পারবেন না। হাসপাতালে সরবরাহ থাকা ওষুধ বা পরীক্ষাগুলো বাইরে থেকে করাতে বলা যাবে না।

সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সিল ব্যবহার করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে বিজ্ঞাপনবিহীন জেনেরিক নামের সিল ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি, ওষুধ কোম্পানির সরবরাহ করা ওষুধের তালিকা চিকিৎসকের টেবিলে রাখা যাবে না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সরকারি হাসপাতালের পরিবেশ সুরক্ষা ও রোগীদের দুর্ভোগ কমাতে এসব নির্দেশনা কঠোরভাবে মানা হবে। উৎস: সমকাল।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়