শিরোনাম
◈ আমদানি-রপ্তানি বন্ধে বাণিজ্য, রাজস্ব আহরণে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা ◈ এবার অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখবে জনগণ : তারেক রহমান ◈ দুই প্রকল্পে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা দিলো বিশ্বব্যাংক ◈ বাংলাদেশসহ একাধিক দেশে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণে চীনের আগ্রহ: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রতিবেদন ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের সংকট কাটলো নাকি নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হলো ◈ ঈদুল আজহার ছুটিতে যে তিন দিন ব্যাংক খোলা থাকবে ◈ কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক আহত ◈ ক্রিকেট ধারাভাষ্য দিয়ে ম্যাচ প্রতি কত আয় ক‌রেন তারা? ◈ সি‌রিজ খেল‌তে পাকিস্তানে পৌঁছেছে বাংলা‌দেশ দ‌লের একাংশ ◈ ‌রেকর্ড, সাকিবকে টপকে গে‌লেন মুস্তা‌ফিজ

প্রকাশিত : ২৫ মে, ২০২৫, ০২:২৯ দুপুর
আপডেট : ২৫ মে, ২০২৫, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অর্থপাচার মামলায় পাপিয়ার ৪ বছরের সাজা, স্বামীসহ ৪ জন খালাস

অর্থপাচার আইনে করা মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেন এ রায় দেন। 

পাশাপাশি তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় সাজাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

তবে মামলার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তার স্বামীসহ চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। 

খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী, পাপিয়ার সহযোগী সাব্বির খন্দকার, শেখ তায়িবা নূর ও জুবায়ের আলম। 

২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

একই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়। 

ওই ঘটনায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে শেরে বাংলা নগর থানার মাদক ও অস্ত্র মামলা, গুলশান থানায় মানি লন্ডারিংয়ের মামলা, বিমানবন্দর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে (জাল টাকার) মামলা এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। 

২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর অর্থপাচার আইনের মামলায় পাপিয়াসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের আরেক পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন। ২০২২ সালের ২১ আগস্ট এ মামলায় তাদের বিচার শুরু হয়।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, অবৈধভাবে পাঁচ কোটি টাকার মালিক হন পাপিয়ার স্বামী মফিজুর। এই টাকার কথা কেউ যাতে জানতে না পারে, সেজন্য তা ব্যাংকে না রেখে বাসার খাটের নিচে লুকিয়ে রাখেন। বাসায় এত টাকা রাখার তথ্য স্ত্রী পাপিয়াকেও জানাননি তিনি। তবে মফিজুর যখন ভারতে অবস্থান করেন, তখন পাপিয়া বাসার খাটের নিচে টাকা থাকার তথ্য জেনে যান এবং এই অবৈধ টাকা পরে খরচ করেন। এর মধ্যে হোটেল ভাড়া দেন তিন কোটি টাকার বেশি।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়