নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিলসহ চার দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে সোমবার থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ছাড়া এনবিআরের আওতাধীন সব দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি শুরু হচ্ছে। এতে দেশের সব ধরনের আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম কার্যত অচল হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে বৈদেশিক বাণিজ্য, রাজস্ব আহরণ এবং সরবরাহ চেইনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মরন করছেন তারা। রোববার বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ের নিচে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’-এর নেতারা। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপকমিশনার আব্দুল কাইয়ুম এবং শুল্ক কর্মকর্তা রইসুন নেসা।
তারা জানান, আন্দোলনের অংশ হিসেবে এতদিন কাস্টম হাউস, এলসি স্টেশন এবং রপ্তানি কার্যক্রম কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকলেও সোমবার (২৬ মে) থেকে শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এই কর্মসূচির বাইরে থাকবে। ওষুধ ও জীবন রক্ষাকারী পণ্যও এ কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
পরিষদের নেতারা অভিযোগ করেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দমন করতে এনবিআরের বিভিন্ন দপ্তরে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে, যা আন্দোলনকারীদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা বহন করে। চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত ১৩ দিন ধরে কর, শুল্ক ও মূসক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতিতে রয়েছেন।
তাদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- ১. এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিল। ২. এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ। ৩. রাজস্ব সংস্কারবিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ। ৪. খসড়া অধ্যাদেশ ও সুপারিশপত্র নিয়ে অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে একটি টেকসই ও গ্রহণযোগ্য রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কার।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকারের একতরফাভাবে প্রণীত রাজস্ব অধ্যাদেশ রাজস্ব ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবে। তাই সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শ করে একটি দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই সংস্কার কাঠামো গঠনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
এই কর্মবিরতির ফলে আগামী সপ্তাহ থেকে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এতে বৈদেশিক বাণিজ্য, রাজস্ব আহরণ এবং সরবরাহ চেইনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।