শিরোনাম
◈ নির্বাচন নিয়ে চাপের মুখে অধ্যাপক ইউনূসের পদত্যাগের হুমকি: নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন ◈ যমুনায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত পরে জানাবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন ◈ আন্দোলনের পর সেনানিবাসে আশ্রয়: ২৪ রাজনীতিবিদ কে কোথায় ◈ বৃক্ষমেলায় হঠাৎ ককটেল বিস্ফোরণ, আতঙ্কে এলাকাবাসী ◈ আজ পৃথকভাবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বসবে বিএনপি ও জামায়াত ◈ ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ জানাল আরব আমিরাত ◈ ​বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য: প্রয়োজন বাণিজ্য কূটনীতি ◈ বেনাপোল বন্দর উদ্ভীদ সংগনিরোধ ভবনে ল্যাবে জনবল শুণ্য, পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধে ঝুকিতে কৃষিক্ষাত! ◈ জাতিসংঘের সতর্কবার্তা: বড় ধাক্কার মুখে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলো ◈ আরেকটা এক-এগারোর বন্দোবস্ত করার পাঁয়তারা চলছে : নাহিদ ইসলাম

প্রকাশিত : ২৩ মে, ২০২৫, ০৭:২৭ বিকাল
আপডেট : ২৪ মে, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘ড. ইউনূসকে ঘিরে একটি চক্র’, ভেতরে চার-বাইরে তিন : সংকট ঘনীভূত

মানবজমিনের প্রতিবেদন: অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর ক্রমেই দূরত্ব বাড়ছে। তবে এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কের কমতি নেই। দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, গত চারদিন একটানা চেষ্টা করেও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি সাক্ষাৎ পেতে ব্যর্থ হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর তরফেও বারবার সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বানের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কোনো অনুরোধেই তিনি সাড়া দেননি।

ওদিকে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে দূরত্ব কমছে। ইতিমধ্যেই দু’দফা বৈঠকের খবর রয়েছে। '২০২৬-এর ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে দু’দলের মধ্যে কথাবার্তা চলছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলছে, প্রফেসর ইউনূসকে ঘিরে রেখেছে একটি অশুভ চক্র। এই চক্রে রয়েছে সাতজন। ভেতরে চার, বাইরে তিন। এরা সবাই সু-শিক্ষিত কিন্তু চরম দক্ষিণপন্থী রাজনীতির সঙ্গে তাদের প্রচণ্ড ঝোঁক রয়েছে। এই চক্রটি চায় না নির্বাচনের দিকে দেশ এগিয়ে যাক। তাদের মতলব অন্য। তারা প্রফেসর ইউনূসকে জনবিচ্ছিন্ন করতে চায়।

সর্বশেষ খবরে জানা যায়, সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। আর এই সংকট উত্তরণে কোনো উদ্যোগ নেই বরং উল্লেখিত চক্রটি নানা খেলায় মত্ত রয়েছে। তারাই বলছে, প্রফেসর ইউনূস পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। আমরা তাকে পদত্যাগ থেকে বিরত রেখেছি। তারাই এখন জরুরি অবস্থা জারি হচ্ছে এমন খবর রটাচ্ছে। বাস্তবের সঙ্গে এর কোনো মিল নেই। 

জানা গেছে , বৃহস্পতিবার প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ড. আলী রীয়াজের বৈঠক হয়েছে। ঠিক কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সেনাপ্রধানের বক্তব্য এবং সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি তারা পর্যালোচনা করেছেন। এছাড়া ওইদিনই অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। প্রায় চার ঘণ্টা চলে এই বৈঠক। এতে প্রধান উপদেষ্টা কতিপয় উপদেষ্টার ভূমিকায় হতাশা ব্যক্ত করেন।  

রাজনৈতিক পণ্ডিতরা বলছেন, প্রফেসর ইউনূস পদত্যাগ করলেই সব সংকটের সমাধান হয়ে যাবে এটা মনে করার কারণ নেই। বরং সংকট আরো তীব্র হবে। প্রফেসর ইউনূস যদি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত না নেন, তাহলে খেলা তার হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বিপ্লবের মূল চেতনা। 

এইমাত্র এক অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি জাতীয় সরকার গঠনের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়