মাসুদ আলম: বৃহস্পতিবার গাবতলী গরুর হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং ঘরমুখো মানুষের হয়রানি লাগবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল-মঈন বলেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী হাটে আনা গরুর শরীরে মোটাতাজাকরণ বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করেন। আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট পশু চিকিৎসকসহ অভিযান পরিচালনা করছে। পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে গরু কেনাবেচা করেন। গরু মোটাতাজাকরণের জন্য অনেক ওষুধ ব্যবহার করা হয়, এসব বিষয়ে নজরদারি রাখা হয়েছে। কেউ যদি গরু মোটাতাজার ওষুধ আগে খাইয়ে নিয়ে আসেন, আর পরীক্ষায় সেগুলো ধরা পড়লে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, পশুর হাটের পাশাপাশি যাত্রাপথে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টি থেকে ঘরমুখো মানুষকে রক্ষা এবং অতিরিক্ত ভাড়ার ভোগান্তি লাঘবেও র্যাবের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে। ফাঁকা ঢাকার বাসাবাড়ির নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। অপরাধ করে কেউ যেন পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য রাজধানীজুড়ে চেকপোস্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি যেন চলাচল করতে না পারে, সে ব্যাপারে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।
মঈন বলেন, হাটে জাল টাকার ছড়াছড়ি রোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দেড় কোটি টাকার বেশি জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে। টাকা নিয়ে কারো সন্দেহ হলে গাবতলী গরুর হাটে র্যাব ক্যাম্পে এসে তা মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমরা পশু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি। আসার পথে কোথাও কোনো ধরনের ডাকাতি বা চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন। তারপরও আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। কোথাও এমন কোনো সম্ভাবনা থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনও ধরনের চাঁদাবাজি বরদাস্ত করা হবে না। হাটে এসে যেকোনও ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে র্যাব ক্যাম্পে এসে সহায়তা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
মঈন বলেন, অনলাইনে বিপুল পরিমাণ গরু কেনাবেচা হচ্ছে। অনলাইনে সাইবার ওয়ার্ল্ডেও আমরা মনিটরিং করছি। ক্রেতারা যেন অনলাইনে গরু কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার না হন।
তিনি আরও বলেন, ফাঁকা ঢাকায় যেকোনও ধরনের চুরি-ছিনতাই প্রতিরোধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। যারা বাসা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে যাবেন, তাদের বাসার সিসিটিভি যেন সক্রিয় থাকে।
আপনার মতামত লিখুন :