শিরোনাম
◈ ফেমডম সেশনের নামে নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি: দুই নারী গ্রেফতার, ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে মামলা ◈ ভারতের হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ১০০০ মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা ◈ ৫ মে লন্ডন থেকে দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ আগামীকাল ◈ ‘নারীর দিকে তাকানোর ঘটনা নিয়ে’ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, ইউএনও-ওসিসহ আহত ২০ ◈ এআই দক্ষতায় পিছিয়ে বাংলাদেশ, সুযোগকে কাজে লাগাতে পারছে না ◈ পুঁজিবাজারে এক মাসে ১৭ হাজার কোটি টাকা ‘হাওয়া’, বিএসইসির নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ ◈ আবেগঘন মুহূর্ত: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ৯ মাসের শিশুপুত্রের সঙ্গে মায়ের বিচ্ছেদ ◈ অন্তর্বর্তী সরকারকে সাবধান করে কড়া বার্তা দিলেন হাসনাত ◈ রেকর্ড দামের পর স্বর্ণের বড় দরপতন

প্রকাশিত : ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৬:৫০ বিকাল
আপডেট : ২৩ মার্চ, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কর্মকর্তারা সম্পদের বিবরণী জমা না দিলে কি হবে, আইনে কি আছে ?

এম এইচ বাচ্চু : সরকারি সব কর্মচারীকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের সই করা এক বার্তায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিব সরকারি সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যারা সম্পদের বিবরণী জমা দেবেন না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, সরকারি সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের বিবরণী জমা দেয়ার নির্দেশনা বাস্তবায়নে আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। এক্ষেত্রে এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির জন্য এক সপ্তাহ এবং সম্পদ বিবরণী দাখিলের ফর্ম প্রস্তুত করার জন্য আরও এক সপ্তাহ সময় দরকার হবে।
 
দেশে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। পাঁচ বছর পরপর তাদের নিজ সম্পদ বিবরণী নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়ার কথা। তবে চাকরির সেই আচরণবিধি তেমন কেউই মানছেন না। তাদের নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর, সংস্থারও হিসাব নেয়ার ব্যাপারে অবহেলা রয়েছে।
তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার এক মাসের মধ্যেই এ বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।

খসড়া আয়করের নতুন আইনে অন্যসব প্রস্তাবনার মধ্যে যাদের ৪০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ আছে, তাদেরকে সম্পদ ও দায়ের বিবরণী বাধ্যতামূলকভাবে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

খসড়া আইনে বলা হয়েছে, মোটরযানের মালিক, কোনো সিটি করপোরেশনের বাড়ি, সম্পত্তি বা অ্যাপার্টমেন্টে বিনিয়োগকারী ব্যক্তি এবং কোম্পানির পরিচালকদের সম্পদ ও দায়ের বিবরণী দাখিল করতে হবে।

আইনের ২৬৪(৫) ধারায় বলা হয়েছে, ‘যেই সকল ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল বাধ্যতামূলক, সেই সকল ক্ষেত্রে কোনো নমিনেশন, মনোনয়ন বা আবেদন যাচাই-বাচাই, কোনো লাইসেন্স অনুমোদন, সার্টিফিকেট, সদস্যপদ, অনুমতি, ভর্তি, এজেন্সি বা ডিস্ট্রিবিউটরশিপের অনুমোদন, ঋণ অনুমোদন, ক্রেডিট কার্ড ইস্যু, সংযোগ বা অপারেশন অনুমোদন, নিবন্ধন সম্পাদন বা পেমেন্টের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল ব্যতীত কোনো প্রকার যাচাই-বাচাই, অনুমোদন, অনুমতি, মঞ্জুর, ইস্যু, ছাড়, সম্পাদন বা পেমেন্ট প্রদান হতে বিরত থাকবেন।’ ২৬৪(৬) ধারায় বলা হয়েছে, যে ব্যক্তির নিকট রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল করা হবে, সেই ব্যক্তি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে দাখিলকৃত রিটার্ন দাখিলের প্রমাণাদির সঠিকতা যাচাই করবেন। আর ২৬৪(৭) ধারায় বলা হয়েছে, যেসব ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল বাধ্যতামূলক, সেসব ক্ষেত্রে এসব অর্থ প্রদান বা সেবা দেয়ার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল নিশ্চিত করবেন। দাখিলকৃত রিটার্ন দাখিলের প্রমাণাদির সত্যতা যাচাইয়ে ব্যর্থ হলে সেই দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি উপকর কমিশনার অনধিক ১০ লাখ টাকার অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়