আনিস তপন: ডিজিটাল হাটের সঙ্গে সম্পৃক্ত এটুআই, একশপ, ই-ক্যাবসহ অন্যান্য ফোরামকে সম্মিলিতভাবে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। যাতে মানুষের আস্থা বাড়ে। কারণ কেউ প্রতারিত হলে, তারা আগামীতে এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে আগ্রহী হবে না।
রোববার কোরবানির পশু বিক্রির অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ডিজিটাল হাট ২০২২’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে একথা বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, ঈদ-উল-আযহায় জরিপ অনুযায়ী ৯৭ লক্ষ ৭৫ হাজার কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে । এ চাহিদা মেটানোর জন্য ১ কোটি ২১ লক্ষ ২৪ হাজার ৩৮৯ টি গবাদিপশু প্রস্তুত আছে। চাহিদার চেয়ে উদ্বৃত্ত পশু মজুত থাকায় এবার পশুর সংকট হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
কোরবানির পশু ব্যবস্থাপনা নিয়ে একসময় নানা বিড়ম্বনা ও বিভিন্ন রকম প্রতিকূল অবস্থা ছিল। সেটা তথ্যপ্রযুক্তি আধুনিকায়নের মাধ্যমে অনেক সহজ করে দিয়েছে। অনলাইনে পশু ক্রয়ের পর যদি কারো মনোপুত না হয়, সেক্ষেত্রেও তার প্রতিকারের ব্যবস্থা রয়েছে। আর্থিক লেনদেনের জন্য স্মার্ট কার্ডসহ অন্যান্য অ্যাপসের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে।
গতবছর অনলাইনে ৩ লাখ ৭৫ হাজার গবাদিপশু বিক্রয় হয়েছে। করোনার কারণে অনেকেই কোরবানির জন্য আগ্রহী না হলেও এবার বেশি কোরবানি হবে, এমনটা আশা করছি।
অনলাইনে ক্রয়কৃত গবাদিপশু পছন্দ না হলে ফেরত প্রদানের ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে যাতে এটা সবার কল্যাণে কাজে লাগে এবং কেউ যেন কোনভাবে প্রতারণার শিকার না হয়। অনলাইন প্লাটফর্মে এবছর ভার্চুয়াল ক্যালকুলেটর নতুন সংযোজন করা হয়েছে। এটি ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে অনাহুত সমস্যা থেকে মুক্ত করবে এবং তাদের দুশ্চিন্তা দূর করবে।
অনলাইনে আপলোড করা গবাদিপশুর মালিকানা, ঠিকানা, মালিকের মোবাইল নম্বর, পশুর বয়স, ওজন এবং ছবি সম্বলিত তথ্য প্রদান নিশ্চিত করা জরুরি। আপলোডের ক্ষেত্রে গবাদিপশুর স্বাস্থ্য সনদ নিতে হবে। এক্ষেত্রে ভেটারিনারী সার্জনরা সেবা দেবে। এতে রোগাক্রান্ত ও কোরবানির অনুপযুক্ত পশু নির্ণয় করা যাবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর খামারিদের অনলাইন প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে সংযুক্ত করতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে। এক্ষেত্রে ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।
অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে হাসিল আদায় করা যাবে না। এ ক্ষেত্রকে ইজারা বহির্ভূত রাখা হবে এবং এ সংক্রান্ত হয়রানি রাতে কেউ না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এমনকি বাজারের বাইরে বাড়িতে বা রাস্তায় কেউ পশু বিক্রি করলে কোনভাবেই তাদের কাছ থেকে হাসিল বা চাঁদা আদায় করা যাবে না। কোরবানির পশু পরিবহনকারী যানবাহন সড়কে, সেতুতে এবং ফেরিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
অনলাইনে ক্রয়কৃত পশু আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে কেউ সমস্যার মুখোমুখি হলে তা সমাধানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ কাজ করবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এটুআই ও একশপ এবং ই-ক্যাব যৌথভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।