শিরোনাম
◈ ২০২৫ সালের হজ: শীর্ষ ১০ দেশ ও কোটা নির্ধারণের প্রক্রিয়া ◈ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট: রাজস্ব আদায়ের চাপ, জনজীবনে ব্যয়বৃদ্ধির শঙ্কা ◈ সড়কে গাছ ফেলে যানবাহনে ঘণ্টাব্যাপী দুর্ধর্ষ ডাকাতি: আহত অন্তত ২০ ◈ জাপান সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ প্রথমবারের মতো ইউরোপসেরা পিএসজি ◈ অপহরণ, প্রতারণা ও মৃত্যুভয়: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের দিন দেশ ছাড়ার রোমহর্ষক গল্প শ ম রেজাউল করিমের (ভিডিও) ◈ গাজীপুরে অতিরিক্ত ডিআইজির মা-বাবাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট ◈ আরও এক দফা কমলো জ্বালানি তেলের দাম ◈ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সকল শহীদদের জন্য দোয়া চাইলেন তারেক রহমান ◈ সংগঠনের কেউ অপরাধ করলে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী বিচার হবে : ডা. শফিকুর রহমান

প্রকাশিত : ১২ জুন, ২০২৪, ১০:৫১ রাত
আপডেট : ১২ জুন, ২০২৪, ১০:৫১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাজেটে মুদ্রাস্ফীতি টেনে ধরা হয়েছে, এটা জনবান্ধবমুখী: তথ্য ও সম্প্রচার  প্রতিমন্ত্রী

মনিরুল ইসলাম: [২] তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত জাতীয় সংসদে  বলেছেন, বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য সহায়তার হার বাড়ানো হয়েছে।  

[৩] বুধবার  রাতে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

[৪] তিনি বলেন, । বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য সহায়তার হার বাড়ানো হয়েছে, শিক্ষা স্বাস্থ্য খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বাজেটে যাদের আয় যত বেশি তাদের করারোপ বেশি এবং যাদের আয় কম তাদের কর কম করা হয়েছে। করের আওতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।প্রতি বছর বাজেট ১২-১৪ শতাংশ বাড়ে, কিন্তু এবার আমরা দেখলাম প্রধানমন্ত্রী-অর্থমন্ত্রী বাজেট ৬ শতাংশ বাড়িয়েছেন। এর কারণ সঞ্চয়মুখী পদক্ষেপ নেওয়া।

[৫] প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২১-২২ এবং ২৩ সালে শুধুমাত্র জ্বালানি খাতে সরকারকে অতিরিক্ত সাড়ে ১৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হয়েছে। করোনা যদি না আসতো, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ যদি না হতো, তাহলে এ জ্বালানি বাবদ যে সাড়ে ১৪ বিলিয়ন ডলার তা কিন্তু আমাদের রিজার্ভে থাকতো। কোভিড আসার আগে শেখ হাসিনা সরকার ধারাবাহিকভাবে যে উন্নয়ন ঘটিয়েছেন সে সময় অর্থনীতি যে ভালো অবস্থানে ছিল যার ফলে আমরা কিন্তু কোভিডের পর এ অতিরিক্ত খরচ সামলাতে সক্ষম হয়েছি।

[৬] তথ্য প্রতিমন্ত্রী বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের তৈরি মিথের কথা উল্লেখ করে বলেন, এ বাজেট নিয়ে তারা বলেন ‘ঋণ করে ঘি খাওয়ার’ মতো বিষয়। কিন্তু তা নয়, এ বাজেটে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি রাখা হয়েছে সেটি বিদেশি ও দেশি উৎস থেকে ঋণ করা হবে, সেটি কিন্তু আমাদের জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। ৫ শতাংশের মধ্যে যদি থাকে তাহলে কিন্তু তা বিলো স্ট্যান্ডার্ড। আমেরিকা কিন্তু জিডিপির ৬ শতাংশের ওপরে ঋণ করছে। আমাদের ঋণ সহনীয় মাত্রায় আছে।

[৭] তিনি বলেন, ২০০৮-০৯ সালে ৩৮ বিলিয়ন ডলার, এখন বাড়তে বাড়তে ১৪৯ বিলিয়ন ডলার হয়ে গেছে। ২০০৮-০৯ সালে জিডিপিও আকার ছিল ১১০ বিলিয়ন ডলার। এখন ১৪৯ বিলিয়ন ডলার ঋণ, আর ৪২০ বিলিয়ন ডলার জিডিপির আকার। ৪২০ বিলিয়ন ডলার জিডিপি থাকা সত্তেও যদি এ ঋণ আমরা না করি তাহলে উন্নয়ন থেকে জনগণকে বঞ্চিত করা হবে।

[৮] খেলাপি ঋণের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিরোধী দলের এমপিরা বলেন,  খেলাপি ঋণ ছিল ২০ হাজার ৯৮ কোটি টাকা। তারা বলছেন, এখন তা হয়ে গেছে ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা, দুটোই সত্যি কথা। কিন্তু এখন যেটা বলা হলো না-সেটা হলো তখন কত টাকা ঋণ ডিসবাসমেন্ট হয়েছিল আর এখন কত টাকা হয়েছে? সেটা কিন্তু বলা হলো না।

[৯] তিনি বলেন,খেলাপি ঋণ ছিল ২০ হাজার ৯৮ কোটি টাকা, তখন ঋণ ডিসবাসমেন্ট ছিল ১ লাখ ৫২ হাজার ১৫৭ হাজার কোটি টাকা। তখন খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৩ শতাংশের ওপরে ছিল। কিন্তু এখন যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ তার বিপরীতে ঋণ ডিসবাসমেন্টের পরিমাণ ১১ শতাংশের নিচে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী

এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়