আদালত প্রতিবেদক: [২] সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত জালিয়াতির মাধ্যমে সিটি ব্যাংক ও এর গ্রাহকদের কাছ থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার মামলায় ব্যাংকটির সাবেক সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কার্ড ডিভিশনের প্রধান মুসাব্বির রহিমকে দণ্ডবিধির আলাদা চারটি ধারায় মোট ২৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
[৩] এ আসামিকে দুই ধারায় ৭ বছর করে ১৪ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ছয় মাস করে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরেক ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও ১ বছর কারাভোগ করতে হবে। অপর এক ধারায় ২ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এসব সাজা একত্রে চলবে বিধায় তাকে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাভোগ করতে হবে।
[৪] এ দিন জামিনে থাকা আসামি মুসাব্বির রহিম অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির হতে পারেননি জানিয়ে সময় আবেদন করেন তার আইনজীবী। সময় আবেদন নামঞ্জুর করে জামিন বাতিল করেন আদালত। পরে তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
[৫] মামলা সূত্রে জানা যায়- ২৫ নভেম্বর, ২০১৫ থেকে ২৪ এপ্রিল, ২০১৬ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে জালিয়াতির মাধ্যমে সিটি ব্যাংক ও এর গ্রাহকদের কাছ থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার অধিক হাতিয়ে নেন মুসাব্বির রহিম। এ অভিযোগে ১৮ আগস্ট, ২০১৬ সিটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের লিগ্যাল ডিভিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এ.কে.এম. আইয়ুব উল্যাহ বনানী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭ মামলাটি তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম।
[৬] ২৫ আগস্ট, ২০১৯ মুসাব্বির রহিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :