খুররম জামান: [২] আটলান্টিক কাউন্সিলের প্রতিবেদনে গত ২২ বছর ধরে বাংলাদেশের রাজনীতির যে অবনতির কথা বলা হয়েছে, তা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।
[৩] মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে গুলশানের একটি হোটেলে এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে ‘প্রসপারিটি অ্যান্ড গুড গভর্নেন্স’ বিষয়ক এক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।
[৪] অনুষ্ঠানে পিটার হাস বলেন, প্রত্যেক দেশ দুর্নীতির মতো বিষয় এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার সুরক্ষার লড়াই করছে। মূল বিষয় সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া নয়, সক্রিয়ভাবে স্বীকার ও মোকাবেলা করা। আশা করি বাংলাদেশ সম্প্রসারিত স্বাধীনতার মাধ্যমে পরিপূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে পরবর্তী এশিয়ান টাইগার হতে পারবে।
[৫] আটলান্টিক কাউন্সিলের ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি সেন্টারের পরিচালক জোসেফ লেমোইন অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন। তিনি প্রতিবেদনটির মূল ফলাফল তুলে ধরেন, যা স্বাধীনতা সূচকের মাধ্যমে দেশগুলোর গণতান্ত্রিক এবং শাসন বিষয়ক নির্দেশকগুলো পরিমাপ এবং ক্রম নির্ধারণ করে এবং সমৃদ্ধি সূচকের মাধ্যমে যা একটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি পরিমাপ করে। স্বাধীনতা এবং সমৃদ্ধি সূচকের মধ্যে দুটি আলাদা সূচক রয়েছে, যা বিশ্বের ১৬৪টি দেশের স্বাধীনতা এবং সমৃদ্ধির ধরণ অনুযায়ী ক্রম বা অবস্থান নির্ধারণ করেছে। স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান "অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বাধীনতা বঞ্চিত" ক্যাটাগরিতে। সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪টি দেশের মধ্যে ৯৯তম এবং "অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসমৃদ্ধ" ক্যাটাগরিতে।
[৬] মূল উপস্থাপনায় লেমোনি বলেন, উপাত্ত বলছে, যেসব দেশে বেশি স্বাধীনতা রয়েছে, সেসব দেশে অধিকতর সমৃদ্ধিও দেখা যায়। অন্যদিকে যেসব দেশে কম স্বাধীনতা রয়েছে, সেখানে কম সমৃদ্ধি থাকার প্রবণতা রয়েছে। যেসব দেশ শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থাসহ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতাকে উৎসাহিত করে, তারা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি করে স্বাগত জানায়। এসব দেশ কম স্বাধীনতা থাকা দেশগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি বিদেশি বিনিয়োগ পায়। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :