সোহাগ হাসান, সিরাজগঞ্জ: [২] সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। এর মধ্যে জিম্মি রয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের নাবিক নাজমুল হক (২৩)। ছেলেকে জীবিত ফিরে পেতে বাবা-মায়ের আকুতি।
[৩] বুধবার (১৩ মার্চ) সরেজমিনে গেলে মা নার্গিস বেগম বলেন, মঙ্গলবার রাত এগারটার দিকে গোপনে রাখা মোবাইলে শেষ কথা হয় ছেলে নাজমুলের সাথে। এরপর আর যোগাযোগ কোন হয়নি।
[৪] নাবিক নাজমুল জেলার কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের মুকবেলাইয়ের চর-নুরনগর গ্রামের আবু সামা শেখের ছেলে।
[৫] নাজমুল বাবা-মাকে আরো বলেন, আফ্রিকা থেকে দুবাইয়ের দিকে সাগর পথে যেতে ২৩ জন নাবিক-ক্রু’র সাথে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হন তেলবাহি জাহাজের নাবিক নাজমুল। সবার মোবাইল জব্দ করা হলেও নাজমুল কৌশলে একটি মোবাইল সেট গোপনে লুকিয়ে রাখতে সক্ষম হন। তা দিয়েই কথা হয় পরিবারের সাথে।
নাজমুল উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর এক বছর হলো জাহাজে চাকরী করছেন। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর তিনি এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে কাজ শুরু করেন।
[৬] নাজমুলের মা আরও বলেন, আমার একমাত্র ছেলে নাজমুল। ওর টাকাতেই আমাদের সংসার চলে। সরকারের কাছে অনুরোধ আমার ছেলেকে যেন জীবিত ফিরিয়ে দেয়।
[৭] কামারখন্দ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা সুমা খাতুন বলেন, নাজমুলের পরিবারের সাথে আমরা আছি,সরকার চেষ্টা করছে দ্রুত তাদের উদ্ধার করা হবে।
কামারখন্দ উপজেলা প্রশাসন, নাজমুলের পরিবারকে সবসময় সহযোগিতার আশ্বাস দেন চেয়ারম্যান শহিদুল্লা সবুজ।
[৮] পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনে নাজমুলের পরিবার-স্বজনকে আশ্বস্ত করতে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশে দেয়া হয়েছে।
প্রতিনিধি/একে