ফারুক নওয়াজ খান: বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীদের দেশে অর্থ প্রেরণে উদ্বুদ্ধ করতে ইউরোপ সফরে রয়েছেন এনসিসি ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা। চারটি অন্যতম প্রবাসী অধ্যুষিত দেশের রাজধানী লন্ডন , রোম ও মাদ্রিদ সফরের পর তারা বৈঠক করেন প্যারিসে।
বুধবার সন্ধ্যায় পোর্ট দ্যা পন্থার হোটেল মারকুইরে এনসিসি ব্যাংক বাংলাদেশের উদ্যোগে মিট দ্যা এন আর বি নামে একটি সভার আয়োজন করা হয় । এন সি সি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রেমিটেন্স এন্ড প্রবাসী শাখার প্রধান এম ডি মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার মোহাম্মদ তালহা।
সম্মানিত অতিথি ছিলেন এনসিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম ডি আবুল বাশার এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংকের পরিচালক এস এম আবু মহসিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মামদুদুর রশিদ ও এন সি ই মানি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ইকরাম ফরাজী । অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিতদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ কাশেম, ইউরো বাংলা বিজনেস এসোসিয়েশনের সভাপতি মঞ্জুরুল হাসান চৌধুরী সেলিম . ব্যবসায়ী নেতা মেহমুদ আলম, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ ফয়সল ইকবাল হাসেমী, ব্যবসায়ী নেতা শাহীন আরমান চৌধুরী, তরুণ ব্যবসায়ী নেতা ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মিল্টন সরকার প্রমুখ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্সিয়াল কাউন্সিল মিজানুর রহমান ও বাংলাদেশ দূতাবাসের দূতালয় প্রধান মোঃ ওয়ালিদ বিন কাশিম।
সভার বক্তারা ব্যাংকিং চ্যানেলে বিভিন্ন সমস্যাবলী ও তার প্রতিকার তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত খন্দকার মোহাম্মদ তালহা বলেন, অবৈধ চ্যানেলে লেনদেনের মাধ্যমে আপনি অপরাধকে প্রশয় দিচ্ছেন ও নিজেও অপরাধের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছেন। তিনি দেশের অর্থনীতিতে গতিশীল রাখতে প্রবাসীদের বৈধ পথে অর্থ প্রেরণের জন্য আহ্বান জানান।
প্রবাসীদের দাবী প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রদূত বলেন, দেশে গিয়ে যদি কেউ বিমানবন্দরের লাঞ্ছনার শিকার হন, লিখিত আকারে দূতাবাসে অভিযোগ করলে আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেবো।
এনসিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, ফ্রান্স প্রবাসীরা ২০-২১ অর্থবছরে রেমিটেন্স প্রেরণে ১৪ নাম্বারে ২১-২২ অর্থবছরে ১৩ নাম্বারে এবং চলতি অর্থবছরে ১২ নাম্বারে অবস্থান করছেন। বর্তমানে দেশকে এগিয়ে নিতে প্রবাসীদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশী। কারণ বর্তমান রিজার্ভের ৬৬% আসে রেমিটেন্স থেকে।