জিসান মাহমুদ, কুয়েত : ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে কুয়েত বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাতে কুয়েত সিটি রাজধানী হোটেলের হলরুমে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
কুয়েত বিএনপির সভাপতি মাহফুজুর রহমান মাহফুজের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন কুয়েত বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও নির্বাচন কমিশনার আল আমিন চৌধুরী স্বপন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুয়েত বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান শামছ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তিলাওয়াত করেন বৃহত্তর নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরামের (প্রস্তাবিত) সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ আবদুর রহমান।
সভায় বক্তারা জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের উপর আলোচনা ও সরকারের সমালোচনা করে বলেন, এই সরকারের সময় খুবই কম! এখনও সময় আছে তত্ত্বাবধারক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় নেওয়া, তা না হলে দেশে বিদেশে আন্দোলনের মাধ্যমে রাজপথে ফয়সালা করে এই সরকার কে বিতাড়িত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
সভায় বক্তব্য দেন- মনির হোসেন মনির, হোসেন মোল্লা, হাজি ইকবাল, সৈয়দ নৌশাদ, হান্নান মজুমদার, ইলিয়াস চৌধুরী, আনিছুল উল্কা, নাসির উদ্দীন হাওলাদার, জাহেদুর রহমান জাহেদ, মোহাম্মদ আলী তালুকদার, আনোয়ার হোসেন মৃধা, জালাল আহম্মেদ, মোহসীন আল মানিক, সামছুদ্দিন সামছু, মাইন উদ্দিন মঈন সহ আরও অনেকে।
পরে নৈশভোজের মাধ্যমে আলোচনা সভা সমাপ্তি হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের শেষদিকে দ্রুত রাজনৈতিক রক্তাক্ত উত্থান-পতনের ঘটনাবলীর মধ্যে এই দিনে তৎকালীন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতা সংহত করে অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীলতার সূচনা করেন। সিপাহী-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঢাকা সেনানিবাসের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে আনেন তৎকালীন সেনা প্রধান জিয়াউর রহমানকে। সেই থেকে বিএনপি ৭ নভেম্বর দিনটিকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে।
প্রতিনিধি/জেএ
আপনার মতামত লিখুন :