সালেহ্ বিপ্লব: [২] সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে প্রশ্ন করা হয়, ক্ষমতা থাকা স্বত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন যদি দুর্বল থাকে তাহলে তাদেরকে তাঁবেদার বলা যায় কি না? জবাবে তিনি বলেন, আমি যেহেতু নির্বাচন কমিশনের পার্ট ছিলাম, তাই আমি আসলে তাদেরকে তাঁবেদার না বলে বলবো তারা অনেক দুর্বল।
[৩] সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন অন্তর্নিহিত শক্তি ব্যবহার করেনি কেন বা করতে পারছে না কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে যে পাঁচজন কমিশনার আছেন, তাদের নিজেদের মধ্যেই বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ আছে।
[৪] তিনি বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক দেখাতে পরিসংখ্যান খুব বড় ভূমিকা রাখে না। শতভাগ ভোট কোথাও হয় না। এভারেজ যেটা হয় ৭৫ শতাংশ। বাংলাদেশে প্লাস মাইনাস, গিভ এন্ড টেক দুটি রাজনৈতিক দলই আছে। সংখ্যার পারসেন্টেজ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
[৫] এম সাখাওয়াত হোসেন আরো বলেন, বাংলাদেশের এমন কোন অবস্থা দেখিনি যে, এই বড় দুই দলের একটি নির্বাচনে নেই, আর ৭০ ভাগ জনগণ ভোট দিয়ে গেছেন। নির্বাচন কমিশনকে কেন মানুষ অবিশ্বাস করে? ক্রেডিবিলিটির প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটি, সংখ্যার পারসেন্টেজে সেটা হবে না।
[৬] ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশো-তে শনিবার এ কথা বলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। অনুষ্ঠানের অপর আলোচক ছিলেন দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার ইমেরিটাস এডিটর নাঈমুল ইসলাম খান।
[৭] নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, যদি বিএনপি নির্বাচনে না আসে তাহলে বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছে। সেটা আওয়ামী লীগ কিংবা শেখ হাসিনার জন্যও কঠিন হয়ে যাবে। বিএনপির প্রথম কাজ নির্বাচনে আসা। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে নির্বাচনে আসতো।
[৮] বাংলাদেশের নাগরিকরা কি প্রজায় পরিণত হয়েছে? সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র এই সম্পাদক বলেন, আমার এখনও ক্ষীণ আশা আছে, বিএনপি নির্বাচনে আসতে পারে। সাংবিধানিকভাবে বিএনপিকে এখনও নির্বাচনে আনার সুযোগ আছে। বিএনপি আসলেই মুহূর্তের মধ্যে দৃশ্যপট বদলে যাবে।
[৯] বিএনপির এখন নির্বাচনে আসার সুযোগ আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা আমার উইশফুল থিঙ্কিং। আমি চাই যে বিএনপি আসুক।