মাজহারুল মিচেল: [২] দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিটে কর্মরত অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (র্যাক) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও দৈনিক খবরের কাগজের বিশেষ প্রতিনিধি রহমান মাসুদকে অপহরণ করে নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র্যাক।
[৩] র্যাক কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সোমবার (৩০ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে সভাপতি আহম্মদ ফয়েজ ও সাধারণ সম্পাদক জেমসন মাহবুব এ ঘটনায় নিন্দা জানান এবং গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
[৪] রহমান মাসুদ জানান, তিনি জাল টাকা ও নারী পাচার বিষয়ে একটি অনুসন্ধানের কাজে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজা এলাকার সার্ভিস রোডের পাশে যান। সেখানে একটি চায়ের দোকানে বসে চা খেয়ে রাস্তার পাশে পায়চারি করছিলেন। এমন সময় পেছন থেকে কেউ এসে তার ডান চোখে জোরে আঘাত করে। এতে তার চোখের বাম পাশ ফুলে যায়। বাম চোখে ঝাপসা দেখছিলেন। এরপর তিনি জ্ঞান হারান। পরে যখন জ্ঞান ফিরে আসে তখন তিনি নিজেকে একটি জঙ্গলের মধ্যে আবিষ্কার করেন।
[৫] তিনি বলেন, ‘এ সময় সশস্ত্র কয়েকজন আমাকে পেটাতে পেটাতে সামনের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। যেখানে নিয়ে যায় সেটা একটা মৎস্য প্রজেক্ট। এরই মধ্যে ওরা আমার মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ, ঘড়ি, অফিশিয়াল ও অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড নিয়ে নেয়। তাদের কথা শুনে বুঝতে পারি তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, আমার রক্তাক্ত শরীর ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়লে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিতে প্রস্তাব দেয়। একপর্যায়ে পিটিয়ে বিভিন্নজনকে ফোন দিয়ে বিকাশে টাকা আনতে বাধ্য করে। বিভিন্ন উপায়ে জোর করে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা স্বীকারোক্তি ফোনে রেকর্ড করে। একপর্যায়ে বিকাশে টাকা এনে দেওয়ার পর সব কিছু রেখে তারা আমাকে নারায়ণগঞ্জের মদনপুরে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
[৬] রহমান মাসুদ বলেন, ‘কেন দুর্বৃত্তরা এমন করেছে তা আমি জানি না।’ আমি এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
[৭] বিবৃতিতে র্যাক নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না